কবর থেকে সহকারীর লাশ উত্তোলন, যা বললেন তানজিন তিশা

প্রকাশিত: ২:৪২ অপরাহ্ণ, মার্চ ১২, ২০২৫

বিনোদন ডেস্ক:

 

জুলাই অভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া অভিনেত্রী তানজিন তিশার ব্যক্তিগত সহকারী আল-আমিনের লাশ ৭ মাস পর ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

সোমবার (১০ মার্চ) মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ পারভেজের নেতৃত্বে এবং উত্তরা পশ্চিম থানা ও শ্রীনগর থানা পুলিশের তত্ত্বাবধানে শ্রীনগর উপজেলার বালাসুর কাশেমনগর কবরস্থান থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন তিশা। তিনি লিখেছেন, ‌আল-আমিন শুধুমাত্র সহকারী নয়, সে আমার ভাই যে আমার সাথে পাঁচটি বছর ছিল। যে ছিল নিষ্পাপ একটি ছেলে এবং সে জুলাই ও আগস্টের আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হয়। সাত মাস পর আল আমিনের মরদেহ কবর থেকে ওঠানোর মতো নির্মম বিষয়টি আমি মোটেও সমর্থন করছি না।’

প্রশ্ন তুলে এই অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘এই কর্মের মাধ্যমে কি লাভ হবে? শুধুমাত্র ওর আত্মাটা কষ্ট পাচ্ছে। পুরো বিষয়টা আমি জানার পর বিষয়টি আমার কাছে মেনে নেওয়া অনেক কষ্টদায়ক। এর পেছনে যে বা যারা জড়িত তারা কোন উদ্দেশ্যে এই কাজটি করেছে আমি চিন্তা করে খুবই হতবাক। ভাইয়া তুই ভালো থাকিস।’

আল-আমিনের পরিবার সূত্রে জনা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই রাজধানীর উত্তরায় গুলিতে নিহত হন আল আমিন। পরে তাকে উত্তরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তী সময়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই ২০ জুলাই শ্রীনগর উপজেলার কাশেমনগর কবরস্থানে তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।

ঘটনার চার মাস পর ডিসেম্বরে নিহতের বড় ভাই বাদল খলিফা বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তারই প্রেক্ষিতে আল-আমিনের বাবা আইয়ুব খলিফার সম্মতিতে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহীন মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে ৭ মাস পর শহীদ আল-আমিনের মরদেহ তোলা হয়েছে। মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।