টি-টোয়েন্টিতে অবসর ভেঙে ফিরতে পারেন কোহলি, দিলেন এক শর্ত!

প্রকাশিত: ১:৫৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৬, ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক :

গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পর সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। সেই অবসর ভেঙে আবারও খেলতে পারেন তিনি। তবে একটি শর্তও চাপিয়েছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক।

কোহলি জানিয়েছেন, ২০২৮ অলিম্পিকে ভারত যদি ফাইনালে উঠতে পারে, তাহলে সেই একটি ম্যাচের জন্য অবসর ভেঙে ফিরতে পারেন তিনি। শনিবার এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে কোহলি বলেছেন, ‘যদি ভারত ২০২৮ অলিম্পিকের ফাইনালে উঠতে পারে, তাহলে হয়তো আমি একটা ম্যাচের জন্য অবসর ভেঙে ফিরতে পারি। অলিম্পিকের পদক গলায় ঝোলালে দারুণ একটা ব্যাপার হবে।’

প্রসঙ্গত, ১২৮ বছর পর ২০২৮ সালে অলিম্পিকে দফিরছে ক্রিকেট। সেটি হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। যোগ্যতা অর্জন কীভাবে হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। কোহলি বলেন, ‘অলিম্পিকের অংশ হওয়া ক্রিকেটের এবং ভারতের পক্ষে খুব ভালো ব্যাপার। পদক নিয়ে ফিরতে পারলে খুব ভালো হবে। আইপিএলের অনেক ভূমিকা রয়েছে এতে। এখন আমরা অলিম্পিকেও খেলতে পারব। কিছু উঠতি ক্রিকেটারের কাছে এটা দারুণ সুযোগ।’টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিলেও টেস্ট এবং ওয়ানডে ক্রিকেটে খেলছেন কোহলি। তবে সেই দু’টি ফরম্যাট থেকে অবসর নেওয়ার পর কী করবেন, তা এখনও ভাবেননি। এদিন কোহলি বলেন, ‘আমি সত্যিই জানি না অবসরের পর কী করব। সম্প্রতি আমার এক সতীর্থ একই প্রশ্ন করেছিল। আমিও এই উত্তরটাই দিয়েছিলাম। হয়তো খুব ঘুরতে পারি সেই সময়ে।’

তবে এখনই বাকি দুই ফরম্যাট থেকে অবসর নেওয়ার ব্যাপারে কিছু ভাবেননি কোহলি। বলছেন, ‘চিন্তা করবেন না। আমি কোনও ঘোষণা করব না। এখনও পর্যন্ত সব ঠিকঠাক আছে। এখনও খেলাটাকে ভালোবাসি। খেলার আনন্দ, জয়ের খিদে এবং ভালোবাসা এখনও আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। যত দিন সেটা উপভোগ করব তত দিন খেলে যাব। এখন কোনো কীর্তি স্থাপনের জন্য খেলি না।’

কোহলি আরও বলেন, ‘প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলার খিদে থাকলে অবসর নিয়ে ভাবার সময় পাওয়া যায় না। রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে এটা নিয়ে এক বার বেশ ভাল কথাবার্তা হয়েছিল। ও আমাকে বলেছিল, সব সময় নিজের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে। জীবনের কোন পর্যায়ে রয়েছি, সেটা নিয়ে বেশি করে ভাবতে। কারণ অবসর কবে নেব, এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া সহজ কাজ নয়।’

গত জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ হেরে ফিরেছে ভারত। কোহলি মনে করেন, আর হয়তো অস্ট্রেলিয়া সফরে যাওয়া হবে না তার। বলেছেন, ‘হয়তো আর কোনও অস্ট্রেলিয়া সফরে যেতে পারব না। তাই অতীতে যা অর্জন করেছি তাতেই আমার শান্তি। অতীতে যা হয়েছে তা কখনও বদলাতে পারব না। যেমন ২০১৪ সালের ইংল্যান্ড সফর। ২০১৮ সালে আবার সে দেশে গিয়ে যা করার সেটা করেছিলাম।’

তবে অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না কোহলি। তার মতে, মানসিকভাবে এমন জায়গায় চলে এসেছেন যে ব্যর্থতা তাকে আর বিশেষ ভাবায় না। তিনি বলছেন, ‘যদি হতাশার ব্যাপারে বেশি ভাবতে শুরু করেন তাহলে নিজের ওপরেই বোঝা বাড়বে। অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েও সেটা বুঝেছি। প্রথম টেস্টে ভালো রান করেছিলাম। ভেবেছিলাম, এভাবেই বাকি সিরিজে খেলা যাবে। তবে ব্যাপারটা ওভাবে এগোয়নি। কীভাবে এর মোকাবিলা করবেন? আমার মতে, মেনে নেওয়া ছাড়া গতি নেই। নিজের প্রতি বরাবর সৎ থাকতে চেয়েছি।’