ট্রাম্পের বাড়তি শুল্ক সমাধানে আশাবাদী অর্থ উপদেষ্টা

প্রকাশিত: ৩:৪২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৮, ২০২৫

সেলিনা আক্তার:

 

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা বাড়তি ৩৭ শতাংশের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও বাণিজ্য উপদেষ্টা গতকালই ট্রাম্প প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছেন। আশা করি বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ও বাণিজ্য উপদেষ্টা গতকালই ট্রাম্প প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছেন। আমরা রেসপন্স করেছি, আমরা পজেটিভ কিছু প্রত্যাশা করছি। আমরাও সহযোগিতা করবো তারাও সহযোগিতা করবে। একটা উইন উইন অবস্থা।

তিনি আরও বলেন, একদিকে ওনারা করে ফেললো আমরা এডজাস্ট করবো বিষয়টা সেটা না। আমরা আমাদের ইস্যুটা তুলে ধরবো। আমি বিশ্বাস করি এই বিষয়টা সমাধান হবে। একটা পজেটিভ হবে, পজেটিভ বলতে তাদেরও লাভ হবে আমাদেরও লাভ হবে।

অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, আজকে আমরা মসুর ডাল, চাল এলএনজি ও তেল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছ । আজকে যে ক্রয়ের অর্ডারগুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলো আগের তুলনায়, মূল্য কম। এটা কারণ হচ্ছে আমরা একটু প্রতিযোগিতা করতে চাচ্ছি। আগে গুটি কয়েক সাপ্লায়ার দিত এখন ওপেন করাতে প্রতিযোগিতা বেড়েছে। ফলে আমরা কম দামে পাচ্ছি। আমাদের অনেক সাশ্রয় হচ্ছে।

এ সময় শুল্ক আরোপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে চিঠি দিয়েছেন সেটার কোনো রেসপন্স পেয়েছেন কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশিরউদ্দীন বলেন, না, আমরা এখনও কোনো রেসপন্স পাইনি। তিনি বলেন, বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে আরও ১০০ পণ্যকে শুল্কমুক্ত তালিকায় যুক্ত করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। আমাদের মূল বিষয় হচ্ছে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো। আমরা ওটার ওপরেই কাজ করছি।

সামগ্রিকভাবে শুল্ক আরোপের ফলে মানুষের মনে শঙ্কা তৈরি হয়েছে, এটা সামাল দিতে আমাদের মেকানিজম কি হবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে সেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আমাদের মূল বিষয় হচ্ছে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো। আমরা ওটার ওপরেই কাজ করছি। বিভিন্ন রকমের বিশ্লেষণ করছি। যে কি কি পণ্য দিয়ে আমরা বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে পারি। আসলে বিষয়টা অতি পরিবর্তনশীল একটা বিষয়।

তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন গতকাল আমেরিকান প্রশাসন বলেছে যে, চায়নিজ… ট্যারিফ ঘোষণা করেছে, ওনারা আবার আরও ৫০ শতাংশ দিতে পারে। এ ধরনের পরিবর্তনশীল অবস্থায় যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া জটিল।

১০০ পণ্য জিরো ট্যারিফ করা হবে, সেটা নিয়ে কোনো পজেটিভ ইমপেক্ট পড়বে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, অবশ্যই, আমরা আশা করছি দেখেইতো এই পরিশ্রম করছি। আমরা নির্ণয় করা চেষ্টা করছি কি কি ভাবে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি টাকে কমিয়ে আনা যায়।