বৃষ্টিতেও অস্বাস্থ্যকর ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত: ১:০২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৯, ২০২৫

নিজেস্ব প্রতিবেদক:

 

রাজধানীর বায়ুদূষণের মাত্রা কয়েকদিন কম থাকলেও আবারও বাড়তে শুরু করেছে। একের পর এক প্রকল্প, আশাবাদী কথার ফুলঝুরিতেও যেন কমছে না মেগাসিটি ঢাকার বাতাসের দূষণ। বৈশাখের শুরু থেকে বৃষ্টি হলেও ঢাকার বায়ুমানের জন্যে খুব একটা সুসংবাদ নেই।

বিগত কয়েক দিন ধরেই ঢাকা বিশ্বের বায়ুদূষণে শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় প্রায় সব সময়ই শীর্ষ ১০-এ অবস্থান করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সকালেও ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে।

শনিবার(১৯ এপ্রিল) সকাল ১১টা নাগাদ আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্যানুযায়ী, ১৫৫ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২য় অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা।

একই সময়ে, ১৬৪ স্কোর নিয়ে প্রথম স্থানে আছে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়। এখানকার বাতাসের মান নাগরিকদের জন্যে অস্বাস্থ্যকর।

এছাড়াও একই তালিকায় ১৫৫ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। চতুর্থ অবস্থানে থাকা মিশরের রাজধানী কায়রোর স্কোর ১৫৪ এবং রাজধানী ঢাকা ১৫৫ স্কোর নিয়ে ২য় অবস্থানে আছে।

আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, বাতাসের গুণমান নির্ধারণের একিউআই স্কেল অনুযায়ী ০-৫০ ভালো, ৫১-১০০ মাঝারি, ১০১-১৫০ সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর, ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।

এছাড়া ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়, ৩০১ বা তার বেশি একিউআই স্কোরকে ‘দুর্যোগপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশের একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, এই বায়ু দূষণের কারণে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর অন্তত ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার বায়ুদূষণ নাগরিকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে। বাইরে বের হলে মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ ব্যক্তিদের বাড়ির বাইরে কম বের হতে বলা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা শহরে সবুজায়ন ও গাছপালা বৃদ্ধির মাধ্যমে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন ।