
ক্রীড়া ডেস্ক:
অভিষেকে শূন্য রানে আউট হলেও মাহমুদুল হাসান জয়ের টেস্ট ক্যারিয়ারের শুরুটা ভালোই ছিল। দ্বিতীয় টেস্টেই মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ৭৮ রানের ধৈর্যশীল এক ইনিংস খেলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। পরের টেস্ট তো ডারবানে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ১৩৭ রানের স্মরণীয় এক ইনিংস খেলেছিলেন তরুণ এ ওপেনার। কিন্তু সেই প্রতিভাবান জয়ের এ কী হাল! গত ১৬ ইনিংসে তাঁর ব্যাটে কোনো ৫০ নেই।
ইদানীং অফস্টাম্পের বাইরের বলে জয়ের দুর্বলতা প্রকট হয়ে উঠেছে। গত নভেম্বরে উইন্ডিজের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজের চার ইনিংসেই অফস্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে এসেছেন তিনি। চার ইনিংসের একটিতেও দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি তিনি। শুধু তাই নয়, অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টেও একইভাবে আউট হয়েছিলেন তিনি। এমনকি দ্বিতীয় ইনিংসে স্পিনারের অফস্টাম্পের বাইরের বলেও স্লিপে ক্যাচ দিয়ে এসেছেন। গতকালও নিয়াউচির অফস্টাম্পের বাইরের বলে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আসেন তিনি ১৪ রান করে। নিয়াউচির আগের ওভারেই ড্রাইভ করতে গিয়ে গালিতে ক্যাচ দিয়েছিলেন সাদমান। এর পরও সতর্ক হননি জয়।
সর্বশেষ জয়ের ব্যাটে হাফ সেঞ্চুরির দেখা মিলেছিল ২০২৩ সালের নভেম্বরে। এই সিলেটেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। এর পর থেকে চলছে খরা। শুরুতেই উইকেট হারানোর প্রভাব পড়ছে পুরো ব্যাটিং লাইনের ওপরই। গত বছর দুয়েক ধরেই এই চাপে আছেন তারা। বাংলাদেশের ওপেনিং এ নিয়ে টানা ১২ ইনিংস ৫০ ছুঁতে ব্যর্থ হলো। তার পরও মন্দের ভালো হলো, গত কিছুদিনের মধ্যে এই ৩১ রানই ওপেনিং জুটিতে সর্বোচ্চ।
আরেক ওপেনার সাদমান ইসলামের অবস্থাও ভালো না। গত সাত ইনিংসে তাঁর হাফ সেঞ্চুরি মাত্র একটি। টানা ব্যর্থতার পরও এই ওপেনারদের কেন এখনও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে? জিম্বাবুয়ে সিরিজের দল নিয়ে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর কাছে এ প্রশ্ন রেখেছিলেন গণমাধ্যমকর্মীরা।
তিনি বলেছিলেন, তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ হওয়ায় এ সিরিজে ফর্মহীন ওপেনারদের রানে ফেরার সুযোগ দিয়েছিলেন তারা। কিন্তু প্রথম সুযোগটি পায়ে ঠেললেন তারা। টেস্টে সবচেয়ে কঠিন সময় দিনের প্রথম ঘণ্টা। হতাশার ব্যাপার হলো, সেই কঠিন সময়টা পার করে উইকেটে সেট হওয়ার পর ক্যাচ দিয়ে আসেন দুই ওপেনার।