গুম ফেরত ব্যক্তিদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি

প্রকাশিত: ৪:০৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২১, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :

গুম ফেরত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, গুম-খুনে জড়িতদের বিচার ও আওয়ামী আমলের নির্যাতনমূলক আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছে ভয়েস অব এনফোর্সড ডিসএপিয়ারড পার্সনস (ভয়েড)।

সোমবার (২১ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বিগত সরকারের আমলে মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল এবং একটি ভীতির রাজত্ব কায়েম করা হয়েছিল। সর্বদাই গুম হওয়ার এক আতঙ্কে বসবাস করতে হতো। সুতরাং, আজকের এই সাম্রাজ্যবাদী পরিবেশে আমাদের নিজেদেরকেই সচেতন থাকতে হবে।

‘যারা ২৪ এর আন্দোলন করেছে, তারা আজ হতাশ হয়ে যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে যে, আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্টদের ফেলা দেওয়া যায়, কিন্তু ফ্যাসিবাদ এতো সহজে ফেলে দেওয়া যায় না। সুতরাং দাবি আদায়ে নিজেদেরই সচেষ্ট হতে হবে।’

সংগঠনটির দাবিসমূহ হলো-

১. সংবিধান ও মানবাধিকার পরিপন্থি সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) বিল ২০১৩ বাতিল করতে হবে।

২. বিনা বিচারে হত্যা করা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

৩. মিথ্যা মামলায় বন্দি সব ব্যক্তির অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি চাই। অ্যান্টি টেরোরিজম কালো আইনে সব মিথ্যা মামলা অবিলম্বে নিঃশর্ত প্রত্যাহার করতে হবে।

৪. গুমের শিকার ব্যক্তিদের সন্ধান নিশ্চিত করতে হবে এবং পরিবারকে যথাযথ তথ্য দিতে হবে।

৫. রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত স্বার্থে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা অবিলম্বে ও নিঃশর্তভাবে প্রত্যাহার করতে হবে। সন্ত্রাসবিরোধী কালো আইনে বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে।

৬. বেআইনি গুমের শিকার সব ব্যক্তির পুনর্বাসনের জন্য আলাদা সরকারি বিভাগ গঠন করতে হবে অথবা মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ে আসতে হবে।

৭. গুমের শিকার ব্যক্তিদের আজীবন পেনশন ও চিকিৎসা সহায়তা দিতে হবে।

৮. গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও মিথ্যা মামলায় জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে।

৯. র‍্যাব, ডিজিএফআই, সিটিটিসি-সহ বিভিন্ন বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও নির্যাতনের দায় স্বীকার করে সরকারকে আনুষ্ঠানিক শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে।

১০. এসব অপরাধগুলোর সব সরকারি নথি প্রকাশ করতে হবে, যাতে সত্য জনগণের সামনে আসে।

১১. রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোকে ভিকটিমদের পরিবার ও পুরো জাতির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে হবে।