জুলাই-আগস্টের খুনিদের থামানো না গেলে বিপর্যয় অনিবার্য

প্রকাশিত: ৪:২৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৪, ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট:

 

বিএনপি-জামায়াত জেগে ঘুমাচ্ছে : খুনের আসামিরা আদালতকে ভেংচি কাটছে, পুলিশকে হুমকি দিচ্ছে, উল্টো শহীদ জিয়া-খালেদা জিয়া-জামায়াত নেতাদের বিচার চাচ্ছে : ‘সর্ষের ভেতর ভূত’ থাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ প্রশাসন নীরবতায়

‘নে বাবা এবার নাকে তেল দিয়ে ঘুমা’ এক বয়স্ক লোক খাঁটি সরিষার তেল খুঁজে পেয়ে প্রবাসী তিন ছেলের জন্য তেল পাঠিয়ে দিয়ে এই উক্তি করেন। একটি আবাসন কোম্পানীর বিজ্ঞাপনের এই জনপ্রিয় ডায়ালগে প্রভাবিত হয়ে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বিএনপি ও সুসংগঠিত রাজনৈতিক দল জামায়াতের নেতারা ‘নাকে খাঁটি সরিষার তেল’ দিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়েছেন। আর প্রশাসনে মাফিয়া নেত্রী হাসিনার অনুগতরা উটপাখির মতো গর্তে মুখ লুকিয়েছেন। পলাতক হাসিনা একের পর এক হুংকার দিচ্ছে; আওয়ামী লীগ আগামী জুন-জুলাইয়ে ঢাকা দখলের প্রস্তুতি নিচ্ছে; হিন্দুত্ববাদী ভারতের মোদী গংরা ড. ইউনূসের অন্তর্র্বতী সরকারকে ‘অকার্যকর’ প্রমাণের চেষ্টায় একের পর এক ষড়যন্ত্রের তীর ছুঁড়ছে, জুলাই-আগস্টের খুনি শাজাহান খান গংরা আদালতে এসে পুলিশকে হুমকি দিচ্ছে; ৫ আগস্টের গণহত্যার চলমান বিচারের আগে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও জামায়াতের নেতাদের বিচার দাবি করছে; অথচ বিএনপি-জামায়াত নেতারা নীরব। হাসানুল হক ইনু, শাজাহান খান, কামরুল ইসলাম, জিয়াউল আহসানরা আসামি হয়েও আদালতে যে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছে তা মূলত অন্তর্র্বতী সরকারকে ‘অকার্যকর’ প্রমাণের ভারতীয় চক্রান্তের ট্রেলর। এদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এখনই গ্রহণ না করলে অন্যেরাও এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করবে। যা সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলবে।

দেশের ‘কমন শত্রু’ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ১৪০০ মানুষকে হত্যাকারী হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের বিচারের আগে বিএনপি-জামায়াতের বিচার দাবি করার ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে খুনি শাজাহান গং অথচ বিএনপি জামায়াতের সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই। তারা রয়েছেন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়ার দৌড়ে। গত ১৫ বছর বিভিন্ন পাতানো মামলায় বিএনপি ও জামায়াতের অনেক সিনিয়র নেতা ও আলেম-ওলামাকে ডা-াবেড়ি পরিয়ে আদালতে তোলা হয়েছে। তারা কখনো শব্দ করেননি। অথচ আদালতে আনা নেয়ার সময় ইনু-শাজাহান-কামরুল-জিয়াউল গংরা পুলিশকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে তারপরও প্রশাসন নীরব; যেন কিছুই ঘটেনি। পুলিশ প্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কী হাসিনার অলিগার্করা ‘সর্ষের ভিতর ভূত’ হয়ে থাকায় খুনের আসামিদের জামাই-আদর করছেন? সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের মধ্যে এ নিয়ে বিতর্কের ঝড় বইছে।

গণহত্যা করে শেখ হাসিনা ভারতে পালানোর পর জুলাই-আগস্ট হত্যাকা-ে নিহত পরিবারগুলো খুনের মামলা দায়ের করেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধ ও খুনের মামলাগুলোর বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ওই সব মামলায় গ্রেফতারকৃত কারাবন্দী আসামিদের আদালতে হাজির করা হলে কয়েকজন আসামি হুমকি দিচ্ছে, ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছে। ‘গতকালও যাত্রাবাড়ি থানার একটি হত্যামামলায় আসামিদের আদালতে হাজির করা হলে এক সময়ে জাসদের গণবাহিনীর সদস্য বর্তমানে আওয়ামী লীগ নেতা শাজাহান খান ঔদ্ধত্যপূর্ণ উক্তি করেন। তিনি তাদের বিচার করার আগে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও জামায়াত নেতাদের বিচারের দাবি করেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো.মাহবুবুর রহমানের আদালতে শাজাহান বাতচিৎ করেন। এজলাস থেকে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার যে অভিযোগের বিচার হচ্ছে, সেই অভিযোগের চেয়ে একাত্তরের অভিযোগ গুরুতর। লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যায় জামায়াত জড়িত। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাসহ তিন হাজার সেনা কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিকে হত্যা করেছে। এরশাদ সাহেবও হত্যা চালিয়েছে। তারাও গিলটি। তাদের বিচার আগে করে তারপর শেখ হাসিনার বিচার’। ২০ জুলাই আদালতে যাওয়ার পথে আসামি হাসানুল হক ইনু দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের হুমিক দেন ‘রাজাকারের বাচ্চা তোদের চৌদ্দ গোষ্ঠী খেয়ে ফেলবো’। শাজাহান খান হুংকার দেন, ‘তোদের নাম নোট করে রাখলাম। রাজাকারের বাচ্চারা। তোদের চৌদ্দ গুষ্ঠী দেখে নেব।’

২১ এপ্রিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে শাজাহান খান আদালতে ভেংচি দেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, শাজাহান খান আদালতে ভেংচি দিচ্ছিলেন এবং হাসাহাসি করছিলেন। কারণ তারা খুব নির্লজ্জ। ১৫ বছর মানুষকে গুম, খুন করেছে। কোনো অনুশোচনা নেই। তারা হত্যাকারী হিসেবে এডিক্টেড হয়ে গেছেন। তারা হাসুক বা পুলিশকে ধমক দিক, এতে তারা নিজেদের ফ্যাসিস্ট হিসেবে প্রমাণ করছে। তাদের বিচার হবে। যেদিন ফাঁসি হবে, সেদিনও তারা হাসাহাসি করবেন। তার কয়েকদিন আগে হত্যা মামলার আসামি সাবেকমন্ত্রী কামরুল ইসলাম হুংকার দেন, ‘আমাকে লিফট দিয়ে আদালতে নিতে হবে; সিঁড়ি বেয়ে যাব না’। কয়েকদিন আগে আদালতে নেয়ার সময় আইন শৃংখলা বাহিনীর সঙ্গে আসামি গুমের মাষ্টারমাইন্ড জিয়াউল আহসান যে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। আওয়ামী লীগের শাসনামলে শাজাহান খানের কমন ডায়ালগ ছিল, ‘ওদের পিটিয়ে মারবো’ ‘রাস্তায় পিষে দেব’ ‘বিএনপি-জামায়াতের রক্ত দিয়ে গোসল করবো’ ‘পুলিশ দিয়ে দাবড়ানি দেব’ ইত্যাদি।

ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেয়া তরুণদের জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কিছু নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী-টেন্ডারবাজী-নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠলেও দলটির নেতারা এখনো আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, শেখ হাসিনার বিচার, ভারতের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান ইস্যুতে কঠোর অবস্থানে। কিন্তু বিএনপি ও জামায়াতের অবস্থা যেন মেলামাইন কোম্পানীর বিজ্ঞাপন বিয়ের অনুষ্ঠানে ‘লমু আর যামু’র মতো ‘এখন নির্বাচন হবে ক্ষমতায় যাব’ অবস্থা। ড. ইউনূসের অন্তর্র্বতী সরকারকে অকার্যকর করতে হাসিনার মুরুব্বী নরেন্দ্র মোদী সারাবিশ্বে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন করছে। হাসিনা বাংলাদেশে প্রবেশের হুংকার দিচ্ছে, জুন-জুলাইয়ে আওয়ামী লীগের ঢাকা দখলের হুংকার সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই। হাসিনা পালিয়েছে এখন রাজনীতির মাঠ একটি বাতির বিজ্ঞাপনের মতো ‘সব ফকফকা’। বাস্তবে কি তাই? ক্ষমতাচ্যুত হয়ে পালালেও হাসিনা কি বসে আছে? তার রাজনৈতিক গুরু ভারত কি বসে আছে? এনসিপি হাসিনার বিচার ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সোচ্চার; অথচ বিএনপি-জামায়াতের কাছে ‘জুলাই-আগস্টের চেতনা’র প্রয়োজনীয়তা শেষ হয়ে গেছে। বিএনপি দাবি করে ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে বিএনপির সাড়ে ৪শ’ থেকে ৫শ’ নেতাকর্মী শহীদ হয়েছে। জামায়াত বলছে তাদের নেতাকর্মী এবং ছাত্রশিবিরের অনেক নেতাকর্মী ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছেন। অথচ জুলাই-আগস্টের ‘কমন শত্রু’ আওয়ামী লীগ যখন দিল্লির পৃষ্ঠপোষকতায় বিষধর সাপের ফণা তুলে বাংলাদেশ গ্রাস করার প্রস্তুতি নিচ্ছে; একের পর এক হুংকার দিচ্ছে তখন বড় দল দু’টির সেদিকে খেয়াল নেই। বিএনপি ডিসেম্বরে নির্বাচনের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। একই সঙ্গে দলটির দায়িত্বশীল নেতাদের আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিরোধিতা করছে। শুধু তাই নয়, রাজনীতির খোঁজ খবর রাখেন এমন অনেকেই অভিযোগ করছেন বিএনপি প্রতিহত করবে না এমন বার্তা পেয়েই আওয়ামী লীগ সারাদেশে মিছিল করছে। অন্যদিকে জামায়াতের কৌশল রূপকথার গল্পের মতে। ক্যাডার ভিত্তিক দল হওয়ায় জামায়াতে সরাসরি যোগদানের সুযোগ নেই। কিন্তু কৌশল নিয়েছে দলটি। তৃণমূল পর্যায়ে সাংবাদিকতা করেন এমন কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মী জানান, জামায়াত নিজেদের পক্ষে ভোটারদের টানতে প্রতি শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর মসজিদে মসজিদে মুসুল্লিদের হাতে লিফলেট ধরিয়ে দিচ্ছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের টার্গেট করে তাদের হাতে লিফলেট তুলে দিয়ে দাওয়াত করছেন। আর আওয়ামী লীগের ওই কর্মী-সমর্থকরা মামলা থেকে বাঁচতে এবং নিরাপত্তার প্রয়োজনে জামায়াতের দাওয়াত গ্রহণ করছে। রাজধানী ঢাকা এবং আশপাশে ছাড়াও উত্তরাঞ্চল-দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি জেলার সাংবাদিকরা এ প্রতিবেদককে জামায়াতের কৌশলের এই গল্প শুনিয়েছেন।

মূলত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে বিএনপির অবস্থান, বাহাত্তুরের সংবিধান প্রেম এবং দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে উঠা ‘বিএনপির বর্তমান চেতনা’ আওয়ামী লীগ নেতারা বুঝতে পেরেছে। সে কারণে শাজাহান খান গং শেখ হাসিনার বিচারের আগে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও জামায়াত নেতাদের বিচার দাবি করার ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে। এখন শাজাহান খান-হাসানুল হক ইনুরা হুমকি দিচ্ছে; খুনের আসামি হয়ে উল্টো জিয়া-বেগম খালেদা-জামায়াত নেতাদের বিচার দাবি করছে। অথচ এই শাজাহানরা ক্ষমতায় থাকতে ঘরে ঘরে গিয়ে বিএনপি-জামায়াত নেতাদের হত্যার নির্দেশনা দিয়েছে। অথচ বিএনপি-জামায়াত সে বিষয়গুলো বেমালুম ভুলে গেছে! আর আইনশৃংখলা বাহিনী! রাজপথে মিছিল করার কারণে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ জয়নুল আবেদীন ফারুককে পেটানোর দৃশ্য এখনো নেট দুনিয়ায় ভাসছে। বিএনপি কার্যালয় থেকে অর্ধশত নেতাকে গ্রেফতার করে সারিবদ্ধভাবে রশি দিয়ে বেঁধে আদালতে তুলেছে। পুলিশের বড় কর্তারা হুমকি দিয়ে বলতেন, বন্দুক-পিস্তল কি হাডুডু খেলার জন্য হাতে নিয়েছি? গোপন মিটিং এ অভিযোগ তুলে বহুবার জামায়াতের শত শত নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মিছিল করতে পারেন এমন ধারণা থেকে বিএনপি জামায়াতের বহু নেতাকে পেটানো হয়েছে। শুধু তাই নয় নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে মিছিল করায় অনেক আলেম এবং বিভিন্ন মামলায় বিএনপি-জামায়াতের নেতাদের আদালতে আনা নেয়ার ডা-াবেড়ি পরানো হতো। অথচ শাজাহান খান, হাসানুল হক ইনুরা পুলিশকে হুমকি দিচ্ছে তারপরও তাদের বিরুদ্ধে আইন শৃংখলা বাহিনী কঠোর হচ্ছে না। ২০ এপ্রিল ইনু-শাজাহান খান পুলিশকে হুমকি দিয়েছে। শাজাহান খান মাথা থেকে হেলমেট ছুঁড়ে ফেলেছে। আবার ২৩ এপ্রিল খুনের আসামি শাজাহান খান নিজেদের খুনের কথা অস্বীকার করে উল্টো হাসিনার বিচারের আগে শহীদ জিয়া-খালেদা জিয়া ও জামায়াত নেতাদের বিচার দাবি করছে। তারপরও শাজাহান খানকে ডা-াবেড়ি পরানো হয়নি। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কের ঝড় উঠেছে। মোদীর বিরুদ্ধে মিছিল করার অপরাধে (!) পিচ্চি হুজুরখ্যাত মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে গ্রেফতারের পর ডা-াবেড়ি পরিয়ে আদালতে আনা নেয়ার দৃশ্য এখনো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাসছে। বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের রিমান্ডে নিয়ে পৈশাচিক নির্যাতনের লোমহর্ষক কাহিনী গণমাধ্যমে প্রচার হয়েছে। অথচ ইনু-শাজাহান খানরা পুলিশকে হুমকি দেয়ার পরও কারাগারে জামাই আদরে থাকছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে বিতর্কের ঝড় বইছে। নেটিজেনদের অনেকেই বলছেন, পুলিশ প্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ইনু-শাজাহান খানদের রাজনৈতিক চেতনাধারী ব্যক্তিরা গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। খুনের আসামি ইনু-শাজাহানরা যতই দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলদের হুমকি দিক; বাহিনীর বড় কর্তারা সেটা কানে তুলছেন না। কারণ একদিন তারাও ইনু-শাজাহানদের সঙ্গে একই চেতনার রাজনীতি করেছেন। ফলে অন্তর্র্বতী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারে বসে খুনের মামলার আসামী ইনু-শাজাহান খানদের ঔদ্ধত্য আমলে নিচ্ছেন না। রাজনীতির পালাবদলে কখনো যদি শাজাহান খানদের উত্থান ঘটে তাহলে হিন্দুত্ববাদী ভারতের সহায়তায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস, এনসিপি, বিএনপি, জামায়াত নেতাদের ফাঁসিতে ঝুলাবেন; কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ প্রশাসনে ওই চেতনাধারী কর্মকর্তাদের প্রতিদান হিসেবে রক্ষা করবেন।