গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি সাতাশ বছরের সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি শামীমা নুর পাপিয়াকে কুমিল্লা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় তাকে স্থানান্তর করা হয়।
আজ রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করে কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেল সুপার ওবায়দুর রহমান সমকালকে বলেন, আজ সন্ধ্যায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় তাকে কুমিল্লা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।
নথি চুরির একটি মামলায় শিক্ষানবিশ আইনজীবী রুনা লায়লাকে গ্রেপ্তারের পর গত ১৭জুন কাশিমপুর মহিলা কারাগারে আনা হয়। কারাগারের সাধারণ ওয়ার্ডে নেওয়ার পর তার দেহ তল্লাশি করে কর্তব্যরত মেট্রন ফাতিমা আক্তার ৭ হাজার ৪০০ টাকা পান।ওই টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য পাপিায়া ও তার সমর্থক কয়েদিরা নির্যাতন শুরু করেন। একপর্যায়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রুনাকে মেঝেতে ফেলে রাখা হয়। পাপিয়ার নির্দেশে তাকে মারধর করা হয়। পাপিয়ার ভয়ে সাধারণ কয়েদিরা নির্যাতনের প্রতিবাদও করেনি। এ ঘটনায় আইনজীবী রুনার ছোট ভাই আব্দুল করিম জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেল সুপার ওবায়দুর রহমান সমকালকে বলেন, নানা কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে পাপিয়া কারা কর্তৃপক্ষকে বিব্রত ও বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, রুনাকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের কারা বিধি অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েদি যেমন রয়েছেন তেমনি মেট্রনও রয়েছেন।
সূত্র জানায়, সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি হিসেবে কারাবিধি অনুযায়ী পাপিয়াকে ‘রাইটার’ হিসেবে নিযুক্ত করার পর থেকেই ভয়ংকর হয়ে উঠেন তিনি।