প্রেমের টানে এবার ফরিদপুরে ছুটে এলেন মালয়েশিয়ান তরুণী
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রেমের টানে প্রায় আড়াই হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ছুটে এসেছেন এক মালয়েশিয়ান তরুণী। উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের কররা গ্রামের বাসিন্দা জাফর মাতুব্বরের কাছে ছুটে এসেছেন মালয়েশিয়ান তরুণী আজি ফাজিরা বিনতে আব্দুল আজিজ (২৫)। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) প্রেমিক জাফর মাতুব্বরের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের কররা গ্রামে চলে আসেন ওই তরুণী। জাফর মাতুব্বর উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের কররা গ্রামের মৃত আবুল কাসেম মাতুব্বরের ছেলে।
এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, জাফর মাতুব্বর দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় ব্যবসা করেন। ব্যবসার সুবাদে আজি ফাজিরা বিনতে আব্দুল আজিজের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৯ সালে দুই পরিবারের সম্মতিতে মালয়েশিয়ায় তাদের বিয়ে হয়। কয়েক মাস আগে জাফর মাতুব্বর দেশে চলে আসেন। পরে বুধবার (৫ জুলাই) ওই তরুণী ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে জাফর মাতুব্বর তাকে গ্রহণ করেন। পরের দিন ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা সোহাগ মাতুব্বর নিউজ পোস্ট বিডিকে বলেন, মালয়েশিয়ান তরুণীর আসার খবরে এলাকাবাসী ওই বাড়িতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভিড় জমাচ্ছেন। তিনি হালকা বাংলা বলতে পারেন। তবে ইংরেজি ভালো বলতে ও বুঝতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের দেশি খাবার তার পছন্দ হয়েছে।
জাফর মাতুব্বরের ছোট ভাই মনিরুল ইসলাম নিঝুম নিউজ পোস্ট বিডিকে বলেন, ভাবি খুবই ভালো মনের মানুষ। আমাদের পরিবার ও আগত মানুষজনের সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলেন। পরিবারের সবার সঙ্গে সহজেই মিশে গেছেন। আমরা তাকে প্রতিদিন একটু একটু করে বাংলা ভাষা ও দেশ সম্পর্কে অনেক কিছু শেখাচ্ছি।
এ বিষয়ে জাফর মাতুব্বর বলেন, দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্কের পর দুই পরিবারই বিষয়টা জানতে পারে। পরে আমরা মালয়েশিয়াতে বিয়ে করি। কয়েক মাস আগে আমি তাকে রেখে বাড়িতে চলে আসি। পরে সেও চলে এসেছে। আমরা দেশের বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণের পর আবার একসঙ্গে মালয়েশিয়ায় চলে যাবো।
মালয়েশিয়ান তরুণী আজি ফাজিরা বিনতে আব্দুল আজিজ বলেন, এখনাকার সবাই ভালো ও আন্তরিক। এ দেশের খাবার ও পরিবেশ ভালো লেগেছে। সবাই আমাকে আপন করে নিয়েছেন। আমি কক্সবাজার ও কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত এবং সোনারগাঁ ঘুরে দেখতে চাই।
স্থানীয় আজিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদার নিউজ পোস্ট বিডিকে বলেন, এটা আমার ইউনিয়নের ঘটনা। লোকমুখে বিষয়টি শুনেছি। তবে সরাসরি দেখা হয়নি। বিষয়টি আনন্দের হলেও সবকিছুর খোঁজ-খবর নিয়ে দেখবো।