নিজস্ব প্রতিবেদক:
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগের মামলায় প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের বান্ধবী ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট নাহিদা রুনাইয়ের বিচারিক আদালতের দেওয়া জামিন স্থগিত করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। জামিন বাতিল চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আবেদন শুনানি নিয়ে আজ সোমবার (১০ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ দুদকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান।
এর আগে অর্থ আত্মসাৎ করে পাচারের অভিযোগের মামলায় নাহিদা রুনাইকে বিচারিক আদালতের দেওয়া জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন করে দুদক। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয় বলে গত শনিবার (৮ জুলাই) গণমাধ্যমকে বলেছিলেন দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
আবেদনে দুদকের পক্ষ থেকে বলা হয়, নাহিদা রুনাইয়ের বিরুদ্ধে অর্থপাচার মামলার তদন্ত চলছে। এ অবস্থায় আসামি জামিনে থাকলে তদন্তে প্রভাব ফেলবে। তাই জামিন বাতিল চায় দুদক।
গত ২৮ ফেব্র“য়ারি জামিনে মুক্তি পান পি কে হালদারের বান্ধবী নাহিদা রুনাই। ২০২১ সালের ১৬ মার্চ বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে নাহিদা রুনাইকে গ্রেফতার করে দুদক।
দুদক অবৈধ ক্যাসিনো মালিকদের সম্পদের তদন্ত শুরু করলে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি দুদক প্রায় ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ টাকার সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করে। ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর আদালত পি কে হালদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
পি কে হালদার ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড (আইএলএফএসএল) থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা, ফাস ফাইন্যান্স থেকে দুই হাজার ২০০ কোটি টাকা, পিপলস লিজিং থেকে তিন হাজার কোটি টাকা ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগে উঠে আসে।
পি কে হালদারের অর্থপাচারের বিষয়গুলো দেখভাল করতেন তার বান্ধবী নাহিদা রুনাই। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং সরকারের ওপর মহলকে ম্যানেজ করতেন তিনি। আর এসব কাজের পুরস্কার হিসেবে নাহিদাকে শূন্য থেকে কোটিপতি বানান পি কে হালদার।