লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটের চার উপজেলায় কমতে শুরু করেছে তিস্তার পানি। এতে গত দু’দিন ধরে ডুবে থাকা রাস্তা-ঘাট ভেসে উঠেছে। জেগে উঠেছে নদীর মাঝে চর। তবে পানি কমায় ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে তিস্তাপাড়ের মানুষের।
রোববার (১৬ জুলাই) সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি ব্যারেজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর ধরলা নদীর পানি শিমুলবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রেখেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, যখন নদীর পানি কমতে শুরু করে, তখন নদীপাড়ের ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করে। ফলে ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, সিংগীমারী, ডাউয়াবাড়ী, পাটিকাপাড়া, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের প্রায় ২৫ গ্রামের মানুষ।
অপরদিকে ধরলা নদীর পানি কম থাকলেও লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ফলিমারীর চর, বুমকা, কুরুলসহ বেশ কিছু স্থান নতুন করে ভাঙনের কবলে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছে।
মোগলহাট ইউনিয়নের ফলিমারীর চর এলাকার আনোয়ার মিয়া জানান, নদী থেকে পানি কমায় এখন তারা ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন। অথচ ভাঙন রোধে কেউ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। যদি ভাঙন শুরু হয় তাহলে তাকে বাড়ি-ঘর ভেঙে উঁচু স্থানে গিয়ে অন্য মানুষের জমিতে আশ্রয় নিতে হবে।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন রোধে কাজ করতে না পারলে তার এলাকার ২০ থেকে ২৫টি বসতবাড়ি ও প্রায় ২০ বিঘা ফসলি ক্ষেত ধরলা নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার বলেন, তিস্তার পানি এখন বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই। কিন্তু তিস্তা ও ধরলা নদীর কিছু স্থানে তীব্র আকারে ভাঙন হতে পারে। তবে ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।