বুড়িগঙ্গায় ওয়াটার বাসডুবিতে লাশ ভেসে উঠলে উদ্ধার করা হবে: ফায়ার সার্ভিস

প্রকাশিত: ৬:১৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৭, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বুড়িগঙ্গা নদীতে যাত্রীসহ ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটি উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডবিøউটিএ) উদ্ধারকারী জাহাজ ‘রুস্তম’। এর আগে সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুরে ওয়াটার বাসটি পোস্তগোলা ব্রিজের দিকে নিয়ে আসা হয়। এরই মধ্যে উদ্ধার তৎপরতা শেষ হয়েছে। তবে নতুন করে কোনো মরদেহ ভেসে উঠলে বা এরকম খবর পেলে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি দল উদ্ধার তৎপরতা চালাবে। উদ্ধার তৎপরতা শেষে বিকেলে নিউজ পোস্ট বিডিকে এসব তথ্য জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।
তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলসহ নৌ টহল বিদ্যমান থাকবে। কোনো মরদেহ ভেসে উঠলে বা ভেসে ওঠার তথ্য পেলে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হবে।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীতে যাত্রীসহ ওয়াটার বাস ডুবে যাওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন তরুণ ও দুজন পুরুষ। এছাড়া জীবিত পাঁচজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ ও তিনজন নারী। ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটিও পানি থেকে শেষপর্যন্ত উত্তোলন করা সম্ভব হয়েছে।

লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিআইডবিøউটিএর উদ্ধারকারী টাগবোট অগ্রদূত গতকাল রোববার দিবাগত রাত পৌনে ৯টার দিকে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটি উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়। পরে নারায়ণগঞ্জ থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘রুস্তম’ যাত্রা শুরু করে। কিন্তু পোস্তগোলা ব্রিজের জন্য জাহাজটি ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। পরে অগ্রদূত টাগবোটটি ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটি টেনে পোস্তগোলার পাশে হাসনাবাদ এলাকায় নিয়ে যায়। এরপর আজ উদ্ধাকারী জাহাজ রুস্তম এর মাধ্যমে ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটি পানি থেকে উত্তোলন করে। তবে এসময় আর কোনো হতাহতের সন্ধান মেলেনি।


এর আগে রোববার রাতে ওয়াটার বাসডুবির পর প্রায় ছয় ঘণ্টা উদ্ধার কার্যক্রম চলানো হয়। পরে রাত ২টা ৪০ মিনিটে উদ্ধার কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ করা হয়।
প্রসঙ্গত, রোববার রাত সোয়া ৮টার দিকে রাজধানীর শ্যামবাজার থেকে কেরানীগঞ্জের তেলেরঘাটের বুড়িগঙ্গা নদীর অংশে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় যাত্রীসহ এ ওয়াটার বাসটি ডুবে যায়। এসময় অনেকে সাঁতারে তীরে পৌঁছাতে পারলেও অনেকেই নিখোঁজ হন। পরে উদ্ধারকারীরা ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসের তিন যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে। জীবিত উদ্ধার পাঁচজনকে রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।