জাহাঙ্গীর আলম :
২৭ জুলাই সরকারের পদত্যাগের দাবিতে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি। একই দিনে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র ও যুব সংগঠনও কর্মসূচি দিয়েছে। এ নিয়ে সংঘাতের আশঙ্কা আছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংঘাতের উসকানি আমরা দেবো না। আমাদের পক্ষ থেকে সংঘাত হওয়ার শঙ্কা নেই। আমরা ক্ষমতায় আছি। আমরা কেনো উসকানি দেবো? আমরা বরাবরই বলে আসছি, আমাদের শান্ত থাকতে হবে। সংঘাত হলে আমাদের ক্ষতি।
আজ সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির পরিচিতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ওবায়দুল কাদের হুঁশিয়ার করে বলেন, তবে কেউ জনগণের জানমালের ক্ষতিসাধন করলে নিরাপত্তা বিধান করা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকা দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব।
তিনি বলেন, তারা লাঠিসোটা নিয়ে আসছে। পাশাপাশি এখন মশার কয়েল নিয়ে আসতে হবে। আমাদের তাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। বিরোধীদের সরকার পতনের দিবা স্বপ্ন ভেসে যাবে।
দলীয় নেতাকর্মীদের তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মাঝে মাঝে কষ্ট পান। ভিন্নমতের অনেকের সঙ্গে বাধ্য হয়ে কাজ করতে হয়। আমাদের ছেলে মেয়েরা বিসিএস দেয় না। আমাদের সচিবালয়ে লোক দরকার।
কাদের বলেন, এই উপ-কমিটিতে যারা আছেন, তারা অন্য কোনো উপ-কমিটিতে থাকতে পারবেন না। জেলা শাখায় থাকতে পারবেন না। শিক্ষা উপ-কমিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কমিটি। ছাত্র সংগঠনের কমিটিগুলোকে দেখতে হবে। ছাত্র রাজনীতিকে আকর্ষণীয় করতে হবে। ছাত্র রাজনীতির সুদিন ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশের জনগণের কাছে আকর্ষণীয় করতে হবে। প্রয়োজনে আরও নেবেন। কর্মী বানাবেন। নেতা দরকার নেই।
তিনি বলেন, আগে ছাত্রনেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের করিডোর দিয়ে হেঁটে গেলে মেয়েরা কমন রুম থেকে বেরিয়ে দেখতো, কোন নেতা যাচ্ছেন। আর এখন ছাত্রনেতারা হেঁটে গেলে কমন রুমে ঢুকে যায়। তার মানে মানুষের মধ্যে ভয় কাজ করছে। তিনজন উঠবে মোটরসাইকেলে, মাথায় হেলমেট নেই। এরা রাজনৈতিক নেতা। ক্ষমতার দাপট দেখায়।
আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে পরিচিতি সভা সঞ্চালনা করেন দলের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা।