গ্যাস বিস্ফোরণে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ কেন নয় তা জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল জারি

প্রকাশিত: ১০:১৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজধানীর পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার ধূপখোলা বাজার এলাকায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান শাওনের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ঘটনার বিষয়ে কোনো গাফিলতি আছে কি না তা খতিয়ে দেখতে ঢাকা জেলা প্রশাসককে (ডিসি) তদন্ত করতে বলেছেন। কার বা কাদের অবহেলায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে তা অনুসন্ধান করে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা ওয়াসা ও তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে তদন্ত করে আলাদা প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। শিক্ষার্থীর বাবা আব্দুল লতিফের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার (১ আগস্ট) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিউজ পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মনিরুজ্জামান লিংকন।

তিনি বলেন, শাওনের পরিবারকে কেন ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং ক্ষতিপূরণ দিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। একই সঙ্গে গেন্ডারিয়ার গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান শাওনের পরিবারের ক্ষতিপূরণ নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এসময় মেহেদী হাসানের বাবা আব্দুল লতিফের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান লিংকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান লিংকন বলেন, রুল জারির পাশাপাশি হাইকোর্ট অন্তর্বত্বী আদেশ দিয়েছেন। কার বা কাদের অবহেলায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে তা অনুসন্ধান করে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে ঢাকার জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদের নিচে নয়, এমন দুজন কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্ত করাতে বলেছেন আদালত।

এর আগে গত ১ মে ধূপখোলা বাজারে রাস্তার গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে শিশুসহ ৯ জন দগ্ধ হন। বিস্ফোরণে দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। বাকি তিনজনকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে।

মেহেদি হাসান শাওন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। বিস্ফোরণে শাওনের শরীরের ৩০ ভাগ দগ্ধ ছিল বলে জানায় চিকিৎসকরা। গত ৬ মে সকালে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরে গত সপ্তাহে ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন শাওনের বাবা আব্দুল লতিফ।