তারেকের ঠিকানা সঠিক করে আবেদনের নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রকাশিত: ৯:১০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১০, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধের বিষয়ে করা রিটে বিবাদী তারেক রহমানের ঢাকার গুলশানের ঠিকানা সঠিক নয়। ওই ঠিকানা সঠিকভাবে উল্লেখ করে রিটে নতুন করে সম্পূরক আবেদন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ এ বিষয়ে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আওয়ামীপন্থি আইনজীবী ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, অ্যাডভোকেট সাইদ আহমেদ রাজা ও অ্যাডভোকেট নাসরিন সিদ্দিকা লিনা। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। এ সময় বিপুর সংখ্যাক আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে শুনানি করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম সজলসহ আরও অনেক আইনজীবী।
পরে আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, অফিসার্স অব দ্যা কোর্ট হিসেবে আমরা আদালতে আমাদের বক্তব্য দিয়েছি। আদালত সব শুনে রিটে থাকা ঠিকানা সংশোধন করে রিটকারীদের নতুন করে আবেদন দিতে বলেছেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) হাইকোর্টের একই বেঞ্চে শুনানি ও আদেশের জন্য এ দিন ঠিক করেছিলেন। এদিন তারেক রহমানের কাছে নতুন করে নোটিশ ইস্যু করতে হবে কি না- বিষয়টি সুরাহা হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
এরও আগে গত ৩ আগস্ট প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধের বিষয়ে জারি করা রুল শুনবেন বলে জানিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এ কারণে রুল প্রস্তুত হওয়ার পর আবেদনকারীদের আসতে বলেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ নির্দেশনা দেন।


আইনের দৃষ্টিতে পলাতক থাকা অবস্থায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য বা বিবৃতি সব ধরনের গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ নিষিদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ অন্তর্র্বতীকালীন এ আদেশ দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে তারেক রহমানের বিদেশের অবস্থা সম্পর্কে জানাতে পররাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তার পাসপোর্টের মেয়াদের বিষয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) একটি প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।