জাতীয় শোক দিবস ঘিরে নাশকতা ঠেকাতে রাজধানীতে চলছে পুলিশের ব্লক রেইড
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
সাইফুল ইসলাম:
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরণের বিশৃঙ্খলা, নৈরাজ্য ও নাশকতা ঠেকাতে রাজধানীতে ব্লক রেইড পরিচালনা করছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ইতোমধ্যেই রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল-মেস ও বস্তিসহ ঘণবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি চিরুনি অভিযান চালানোর নির্দেশনা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার। আজ রোববার (১৩ আগস্ট) দুপুরে নিউজ পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ফারুক হোসেন।
তিনি জানান, গতকাল শনিবার (১২ আগস্ট) ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ওই আদেশের পরপরই গতকাল শনিবার (১২ আগস্ট) থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন হোটেল-মেসে এ ব্লক রেইড পরিচালনা করবে সংশ্লিষ্ট এলাকার থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের পৃথক টিম।
আদেশে বলা হয়, ডিএমপির সব ক্রাইম ও গোয়েন্দা বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে সব আবাসিক হোটেল, মেস এবং বস্তি এলাকায় ব্লক রেইড ও তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। আসন্ন ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর কোথাও যাতে কোনো ধরনের নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা, ধ্বংসযজ্ঞ এবং জঙ্গিবাদের ঘটনা না ঘটে সেজন্য ব্লক রেইড পরিচালনা করার নির্দেশ দেওয়া হলো।
ডিএমপি কমিশনারের আদেশে আরও বলা হয়, আসন্ন ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসকে কেন্দ্র করে ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নাশকতা, নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা ও ধ্বংসযজ্ঞ এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ও অপপ্রচারে রোধে ১২-১৪ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করার প্রয়োজন রয়েছে।
১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে জঙ্গিরা রাজধানীর কোথাও যাতে অবস্থান না নিতে পারে সেই লক্ষ্যে বাসাবাড়ি, আবাসিক হোটেল, মেস, বস্তিসহ এলাকাভিত্তিক ব্লক রেইড, তল্লাশি ও চেকপোস্ট কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। ডিএমপির সব আবাসিক হোটেল, মেস এবং বস্তি এলাকায় ব্লক রেইড ও তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। বিশেষ অভিযানের সময় উঠান বৈঠকের কার্যক্রম বেগবান করতে হবে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গিবাদ ও জঙ্গিবাদের হুমকি সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে হবে এবং জনগণকে পুলিশি কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে।
কোনো সন্ত্রাসী জঙ্গিগোষ্ঠী যেন ঢাকা মহানগরীতে অন্তর্ঘাতমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে ও বিশেষ অভিযান সফল করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
এছাড়া ছাত্রাবাস, ক্লিনিক, পরিত্যক্ত কারখানা, সন্দেহভাজন কোচিং সেন্টার, ইংরেজি মাধ্যম স্কুল/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য সন্দেহভাজন প্রতিষ্ঠানসমূহে তল্লাশি ও ব্লক রেইড কার্যক্রম পরিচালনা করতেও বলা হয়েছে। ডিএমপির প্রতিটি থানায় ভাড়াটিয়া এবং প্রতিটি মেসের সদস্যদের তথ্য হালনাগাদ পূর্বক সন্দেহজনক ব্যক্তিদের তথ্যাদি সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারের মাধ্যমে ডিবি এবং সিটিটিসিকে অবহিত করতে হবে বলেও ডিএমপি কমিশনারের ওই আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে ।