সেন্ট্রালে নয়, এবার ইমপালস হাসপাতালের চেম্বারে ফিরেছেন আলোচিত ডাক্তার সংযুক্তা

প্রকাশিত: ৮:২২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৪, ২০২৩

সাজ্জাদ হোসেন:

রাজধানীর সেন্ট্রাল হসপিটালে নরমাল ডেলিভারি করাতে এসে প্রাণ হারানো মাহবুবা রহমান আঁখির মৃত্যুর ঘটনায় আলোচিত-সমালোচিত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহা প্রায় দুই মাস পর আবারও ব্যক্তিগত চেম্বার শুরু করেছেন। তবে এবার আর সেন্ট্রাল হসপিটালে নয়, চেম্বার করছেন রাজধানীর ইমপালস হাসপাতালে। আজ সোমবার (১৪ আগস্ট) সকালে নিউজ পোস্টকে ডা. সংযুক্তা নিজেই চেম্বার শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আজ সোমবার  (১৪ আগস্ট) বিকেল থেকে আমি ইমপালস হাসপাতালে চেম্বার শুরু করেছি। এজন্য আমি দেশবাসীর দোয়া-সমর্থন ও সহযোগিতা  কামনা করছি।

এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজ ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে ডা. সংযুক্তা বলেন, আমার নিজস্ব হসপিটাল (অন্যতম ডিরেক্টর) ইমপালস হাসপাতালে চেম্বার শুরু করতে যাচ্ছি। আপনারা ইতোমধ্যে জানেন, ইমপালস হাসপাতাল ব্যথাহীন প্রসবের জন্য বিখ্যাত। কারণ এই হাসপাতালে ব্যথাহীন প্রসবের জন্য বিদেশি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডাক্তারদের নিয়ে গঠিত শক্তিশালী টিম রয়েছে। শিগগিরই দেখা হবে।

প্রসঙ্গত, গত ৯ জুন অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহার (গাইনি) অধীনে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মাহাবুবা রহমান আঁখি। কিন্তু সেদিন ডা. সংযুক্তা হাসপাতালেই ছিলেন না। পরে তার দুই সহযোগী চিকিৎসক আঁখির সন্তান প্রসব করানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু জটিলতা দেখা দেওয়ায় নবজাতককে এনআইসিইউতে রাখা হয়। একই সঙ্গে আঁখির অবস্থার অবনতি হলে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে ১০ জুন বিকেলে আঁখির নবজাতক সন্তান মারা যায়। এ ঘটনায় আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী ধানমন্ডি থানায় ‘অবহেলাজনিত মৃত্যুর একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানা, ডা. মুনা সাহা, ডা. মিলি, সহকারী জমির, এহসান ও হাসপাতালের ম্যানেজার পারভেজকে আসামি করা হয়। এছাড়াও অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনকেও আসামি করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর ১৫ জুন রাতে ডা. শাহজাদী ও ডা. মুনা সাহাকে হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১৮ জুন দুপুর ১টা ৪৩ মিনিটে ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাহবুবা রহমান আঁখিও।