newspostbd
আমিনুল ইসলাম বাবু:
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর মেহেরুন নেসা মিম (১৬) নামে এক গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে ওই গৃহবধূর মৃত্যুর বিষয়টি নিউজ পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন কামরাঙ্গীরচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোস্তফা আনোয়ার।
তিনি বলেন, আজ মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) দুপুরের দিকে কামরাঙ্গীরচর টেনারী পুকুরপাড় জামাল দেওয়ান বাদশা মিয়া বাড়ির তাদের ভাড়া বাসায় এ ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য ও ঢামেক হাসপাতালে পুলিশের পৃথক দুটি টিম পাঠানো হয়েছে।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে মেহেরুন নেসা মিমকে নিজ ভাড়া বাসা থেকে অচেতন অবস্থায় তার বড় বোন মোসা: তন্নিকা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে বিকেল সোয়া তিন টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তার দেহ পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বড় বোন তন্বিকা তার বোন মিমকে হত্যার অভিযোগ তুলে নিউজ পোস্টকে বলেন, আমার বোনের সাথে সম্পর্ক করে শেরপুর নালিতাবাড়ির বাসিন্দা সোহেল চার বছর আগে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। তাদের দুই বছরে এক সন্তান রয়েছে।
তিনি বলেন, বিয়ের একবছর তাদের সংসার ভালোই চলছিলো। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে দাম্পত্য কলহ লেগে থাকতো তাদের মধ্যে । মারধর নির্যাতন করতো সোহেল। এ-সব নিয়ে সোহেল এর বিরুদ্ধে একবার থানায় অভিযোগও করে হয়েছিল। আমি সাপ্তাহ খানিক আগে তাদের বাসায় আসি। আমার মা ও তারা একই বাসায় থাকেন। মা ও সোহেল দুজনেই স্থানীয় একটি টুথব্রাশ কারখানায় চাকরি করেন।
তিনি আরও বলেন, আমার বোনকে হত্যা করেছে সোহেল। আজ দুপুরের দিকে তার বাসায় সোহেল তার শরীরে একটি ফোঁড়া হয়েছে বলে, তার ভিতর থেকে মল বের করার কথা বলে বোন মিমকে বাথরুমে আসতে বলে, পরে তারা দুজনেই বাথরুমে যায়। বেশকিছু সময় পর সোহেল বের হয়ে ঔষধ আনার কথা বলে বাহিরে চলে যায়। অনেক সময় হয়ে গেলেও মিম বাথরুম থেকে বের না হওয়ায় ও সোহেল বাসায় ফিরে না আসায় আমার সন্দেহ হয়। এরপর আমি এগিয়ে গিয়ে দেখি বাথরুমের ভিতর বোন মিম অস্বাভাবিক ও অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি, এবং সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। তিনি ধারণা করছেন, তার বোন মিমকে তার স্বামী সোহেল গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যা করে বাথরুমে ফেলে ওষুধ আনার কথা বলে পালিয়ে গেছে।
এদিকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক বলেন, মিমের মৃত্যুর বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় মৃত্যুর কারণ নির্নয়ের জন্য ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ বাচ্চু মিয়া নিউজ পোস্টকে বলেন, নিহতের মরদেহটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবিহিত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মৃতার বাবা ঝালকাঠির বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন। তাদের ছোট অবস্থায় রেখে অন্যত্র চলে যান।
কামরাঙ্গীরচরে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ
newspostbd
আজ বিকেলে এ বিষয় কামরাঙ্গীরচর থানায় যোগাযোগ করা হলে ওসি মোস্তফা আনোয়ার নিউজ পোস্টকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।(newspostbd) একইসঙ্গে নিহাতের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করতে ঢামেক হাসপাতালের মর্গে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। ঘটনার খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনানু ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশের শীর্ষ এই কর্মকর্তা।
newsInBangla LatestNewsBd News bd newspostbd
ক্যাম্পাস অর্থনীতি শিক্ষা মতামত দূর্ঘটন রাজধানী