কোরআন পোড়ানো দেশগুলোকে মোকাবিলার হুঁশিয়ারি চেচেন নেতা রমজান কাদিরভের

প্রকাশিত: ৫:৩৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৮, ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

সম্প্রতি ইসলামের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন পোড়ানোর কিংবা অবমাননার ঘটনা বেড়েছে। বিশেষ করে সুইডেন, ডেনমার্কের মতো দেশে এই ন্যাক্কারজনক কর্মকাণ্ড ঘনঘন ঘটতে দেখা গেছে। যেসব দেশে কোরআন অবমাননা কার হচ্ছে সে দেশগুলোকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর মোকাবিলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চেচেন নেতা রমজান কাদিরভ। খবর আরটির।
রাশিয়ার চেচেন প্রজাতন্ত্রের প্রধান রমজান কাদিরভ পশ্চিমা বিশ্বে কোরআন পোড়ানোর ঘটনার মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হওয়ায় মুসলিম বিশ্বের নেতাদের কঠোর সমালোচনা করেছেন। এরপরই তিনি যুদ্ধ শেষে অপরাধীদের যথাসাধ্য ‘মোকাবিলা’ করার অঙ্গীকার করেন।

টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে কাদিরভ বলেছেন, ইউরোপে ইসলামের পবিত্র গ্রন্থের অবিরত অবমাননা মুসলিম বিশ্বের জন্য একটি ‘অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জ’ তৈরি করেছে। এই সময়ে মুসলিম রাষ্ট্রের নেতারা কোথায়? কেন তারা আমাদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থকে প্রকাশ্যে লঙ্ঘন করতে দিচ্ছে এবং মুসলিম ও ইসলাম ধর্মকে রক্ষা করার জন্য কোন উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিচ্ছে না? তারা কি সত্যিই আল্লাহর ক্রোধের চেয়ে প্রতিক্রিয়া এবং আমেরিকান ও ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞাকে বেশি ভয় পায়?

পশ্চিমের বিরুদ্ধে একাই লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রমজান বলেন, ‘আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত। আমরা যখন ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করব, তখন আমরা সেই সব দেশে যাব যারা কুরআনকে অপবিত্র করেছে। রাশিয়ায় অনেক মুসলিম আছে যারা এই ঘটনাকে উপেক্ষা করবে না।’

কাদিরভ বলেন, যদি শয়তানের দাসত্ব বন্ধ না করা হয়, আগামীকাল তারা আমাদের মসজিদে হানা দিবে। তারা আমাদের বাচ্চাদের শিক্ষা দেবে যে প্রার্থনা কোনো ফ্যাশন নয় এবং আমাদের জনগণকে পরিচয়হীন জাতিতে পরিণত করবে যাদের কাছে ডলারই হবে দেবতা।

এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কোরআন পোড়ানোকে একটি ‘অপরাধ’ এবং সাম্প্রদায়িক বিভাজন উসকে দেওয়ার প্রচেষ্টা বলে নিন্দা করেছেন।