জাতির পিতার নীতি ও আদর্শ মেনে ছাত্রলীগকে চলতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নীতি ও আদর্শ মেনে চলতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ছাত্রলীগকে সঠিক পথে চলতে হবে। বঙ্গবন্ধু অনেক বড় স্বপ্ন, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে ছাত্রলীগ গঠন করেন। ছাত্রলীগের সঠিক ইতিহাস জাতির কাছে তুলে ধরতে হবে।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছাত্রলীগের ‘লিডারশিপ ওরিয়েন্টেশন’ প্রোগ্রামে মোবাইল ফোনে যুক্ত হয়ে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। দেশের স্বাধীনতা অর্জনসহ সব গণতান্ত্রিক অর্জনে ছাত্রলীগের ভূমিকার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে ভালোভাবে লেখাপড়া করতে হবে। সুন্দর আচরণের মাধ্যমে মানুষের মন জয় করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শ বুকে ধারণ করে চলতে হবে। ছাত্রলীগকে সুশিক্ষা ও মেধার আলোয় আলোকিত হতে হবে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমানের মোবাইল ফোনে ছাত্রলীগের নেতাদের উদ্দেশে প্রায় ১০ মিনিটের বেশি কথা বলেন শেখ হাসিনা। ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যসহ কেন্দ্রীয় নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্রলীগ সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় তারা লিডারশিপ ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামটির আয়োজন করেছেন।
সংশ্নিষ্টরা জানান, বিকেল ৫টায় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর মোবাইল ফোনে কল করেন। প্রধানমন্ত্রী ফোন রিসিভ করে ছাত্রলীগের এই প্রোগ্রামের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ছাত্রলীগ নেতারা সালাম জানালে তিনি সালামের জবাব দেন। এরপর লাউড স্পিকারে বিভিন্ন সাংগঠনিক নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছাত্রলীগ নেতাদের বঙ্গবন্ধুর লেখা দুটি বই ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’সহ জাতির পিতার বিরুদ্ধে গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রকাশিত সব বই পড়তে হবে। মুজিববর্ষ উদযাপনে সক্রিয় হতে হবে।
ছাত্রলীগ গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদান ও জাতির পিতার অনুপস্থিতিতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এ সংগঠনকে কীভাবে পরিচালনা করেছেন, তা তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গমাতা ছাত্রলীগের মাধ্যমেই আন্দোলন-সংগ্রামের সব তথ্য সংগ্রহ করতেন এবং জেলখানায় জাতির পিতার কাছে তা পৌঁছে দিতেন।