নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সম্প্রতি দেওয়া সব বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তারই ধারাবাহিকতায় তারেক রহমানের বক্তব্য অনলাইন থেকে সরানোর কাজ শুরু করেছে বিটিআরসি।
আজ মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিটিআরসির আইনজীবী খোন্দকার রেজা ই রাকিব বলেন, তারেক রহমানের বক্তব্য অনলাইন থেকে সরাতে হাইকোর্টের বেঞ্চের আদেশ দেওয়ার প্রেক্ষাপটে গতকাল ল’ইয়ার সার্টিফিকেট পেয়েছি। বিটিআরসির একটি টিম তারেক রহমানের বক্তব্য অনলাইন থেকে অপসারণের কাজ শুরু করেছে। আশা করছি, কয়েকদিনের মধ্যে তারেকের সব বক্তব্য অনলাইন থেকে অপসারণ সম্ভব হবে। আমরা হাইকোর্টের আদেশের সার্টিফায়েড কপির জন্য অপেক্ষা করছি।
এর আগে গতকাল সোমবার (২৮ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তারেক রহমানের সব বক্তব্য অনলাইন থেকে সরানোর নির্দেশ দেন।
এ আদেশের সময় বিএনপির আইনজীবীরা হট্টগোল করলে বিচারকরা এজলাস ছেড়ে চলে যান। এর প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পরে এসে বিচার কাজ শুরু করেন বিচারকরা। আদালতে এ দিন রিটের পক্ষে ছিলেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট এম সাঈদ আহমেদ রাজা, আইনজীবী সানজিদা খানম ও নাসরিন সিদ্দিকা লিনা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।
বিএনপির আইনজীবীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টারর কায়সার কামাল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটির সভাপতি আবদুল জব্বার ভ‚ইয়া ও সাধারণ সম্পাদক গাজী মো. কামরুল ইসলাম সজলসহ শতাধিক আইনজীবী।
অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, নয়াপল্টনের জনসভায় তারেক রহমানের বক্তব্য মাইকে প্রচার করা হয়। ইদানিং খুব বেশি রকমভাবে প্রচারিত হচ্ছে আদালতের আদেশ ভায়োলেট করে। যার জন্য আমরা বিটিআরসির প্রতি একটা নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেছি। আদালত আবেদনটি অ্যালাউ করেছেন। বিটিআরসির প্রতি নির্দেশনা দিতে যেন ইউটিউব, সামাজিক সব মাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য, বিবৃতি, ভিডিও-অডিও প্রচার বন্ধে পদক্ষেপ নেয়।
গত ২৪ আগস্ট তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার বন্ধ করা প্রশ্নে রুলের শুনানিতে পক্ষভুক্ত হতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সভাপতি আবদুল জব্বার ভূঁইয়ার আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ।
গত ১৩ আগস্ট প্রিন্ট, ইলেকট্রিক ও অনলাইন গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বক্তব্য প্রচার বন্ধ করা প্রশ্নে জারি করা রুলের নোটিশ রিটে উল্লেখিত তারেক রহমানের ঠিকানা ভুল থাকায় তা সংশোধন করে তারেক রহমানের গুলশানের ঠিকানায় নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এর আগে গত ৮ আগস্ট এ মামলার শুনানি নিয়ে আদালতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোলের ঘটনা ঘটে।