গাজীপুরে আগুনের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু : মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
আমিনুল ইসলাম বাবু:
গাজীপুরের বোর্ডবাজার এলাকায় আগুনের ঘটনায় শফিকুল ইসলাম (৩৫) নামে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে ৩ জনে দাঁড়িয়েছে। ঘটনার সময় তিনি লিকেজ গ্যাস সিলিন্ডারটি মেরামত করতে গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার (২৯,আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে এগারোটার দিকে মারা যান। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বিষয়টি নিউজ পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন বার্ণ ইনিস্টিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, তার শরীরের ৩৫শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এরপর আইসিইউতে ভর্তি রেখে জরুরি প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রদান করেও শেষ পর্যন্ত তাকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, নিহত শফিকুল ছিলেন পাবনার সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের হোসাইন আলীর ছেলে। তার স্ত্রী’র নাম চায়না খাতুন, ছয় ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন পঞ্চম।
এ ঘটনায় এর আগে বাবা, ছেলে দু’জন মারা গেছেন। গত
১৪,আগস্ট বিকেল সোয়া ৪ টায় তার বাবা ফরমান মন্ডল (৬৫), ও ১৭ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০ টায় মারা যান তার ছেলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার মিনারুল ইসলাম। মৃত মিনারুলের মা খাদিজা বেগম (৫২) প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৪ আগস্ট গাজীপুর বোর্ডবাজার এলাকায় গ্যাস লিকেজ থেকে আগুন লেগে একই পরিবারের তিন জনসহ চার জন দগ্ধের ঘটনা ঘটে।
মৃত মিনারুল ইসলাম এর ছোট ছেলে আনারুল ইসলাম জানিয়েছিলেন , তার ভাই তার পরিবার নিয়ে বোর্ডবাজার এলাকায় থাকেন। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সেকশন অফিসার হিসাবে চাকরি করেন।
তার স্ত্রীর নাম সুমাইয়া ফেরদৌস কনা, তাদের নয় মাস বয়সী কন্যা সন্তান রয়েছে। তিনি বলেন, গত ২০/২২ দিন আগে বাবা-মা তার বাসায় বেড়াতে এসেছেন।
তিনি আরও বলেন, তাদের বাসায় গ্যাসের সিলিন্ডারটি মুখ দিয়ে গ্যাস লিকেজ ছিল। আর তাই, ভাই শফিকুল ইসলাম নামে মিস্ত্রি ডেকে এনে গত রোববার রাত আনুমানিক সাড়ে দশ টার দিকে সিলিন্ডার লিকেজ সারিয়ে আগুন দিয়ে দেখানোর জন্য দিয়াশলাইয়ের কাঠি ধারাতেই বিকট শব্দ হয়ে আগুন লেগে যায়। সিলিন্ডারটি ছুটে বেশ দুরে ছিটকে চলে যায়। সে সময়ে মিস্ত্রির সামনে দাঁড়িয়ে কাজ দেখতে ছিলেন তারা বাবা-ছেলে। মা ছিল দুরে। আর ভাবি তার সন্তান নিয়ে আরেক রুমের ভিতর ছিলেন। তাই তারা রক্ষা পেয়েছেন। পরে ভাই তার পরিচিত একজনকে ফোন করে জানান, তারা এসে তাদেরকে উদ্ধার করে রোববার (১৪ আগস্ট) দিবাগত রাতে বার্ণ ইনিস্টিউটে ভর্তি করান।