রংপুরে এক ব্যক্তিকে অপহরণের মামলায় পুলিশ কনস্টেবলসহ তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। অপহৃত ব্যক্তি তোশারেফ হোসেন (৪০) এখনো উদ্ধার হয়নি।
এ ঘটনায় গত ১৬ জানুয়ারি তোশারেফের বড় বোন সাজিয়া আফরিন বাদী হয়ে রংপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এতে রংপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত কনস্টেবল রবিউল ইসলামহ ছয়জনকে আসামি করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, একজন গৃহকর্মীর সন্ধানে ১০ জানুয়ারি ঢাকার হাজীরবাগ এনায়েতগঞ্জ লেন এলাকার বাসিন্দা তোশারেফ হোসেন বাসে করে রংপুরে আসেন। ১১ জানুয়ারি তোশারেফ শহরের কামারপাড়া ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে নামেন। এ সময় সেখান থেকে রবিউল ইসলাম (২৬) নামের একজন পুলিশ কনস্টেবলসহ আরও কয়েকজন তোশারেফকে নিয়ে যায়। ওই পুলিশ কনস্টেবল তোশারেফের পূর্ব পরিচিত।
মামলার এজাহারের অভিযোগে আরও বলা হয়, তোশারেফকে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁর ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। ওই দিন তোশারেফের পরিবারের পক্ষ থেকে মোবাইলে কয়েকবার কথা বললেও একদিন পর তাঁর ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর রবিউলের সঙ্গে মুঠোফোনে তোশারেফের পরিবারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেওয়া হয়। বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করার পরও অপহৃত তোশারেফকে পাওয়া যায়নি।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কোতোয়ালি পুলিশ গতকাল শুক্রবার রাতে প্রধান আসামি রংপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল রবিউল ইসলাম (২৬), বিপুল কুমার রায় (৪৩) ও সাইফুল ইসলামকে (৩৮) পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এদের মধ্যে বিপুলের বাড়ি রংপুর সদর উপজেলার মমিনপুর ইউনিয়নের ক্ষত্রিয়পাড়া এবং সাইফুলের বাড়ি রংপুর সদর উপজেলার মধ্য খা এলাকায়। আর রবিউল ভাড়া থাকেন রংপুর নগরের সাতগাড়া ডাঙিরপাড় এলাকায়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রশিদ অপহরণ মামলায় পুলিশ কনস্টেবলসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার অভিযান চলছে।
মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আলতাব হোসেন বলেন, অপহৃত ব্যক্তি এখনো উদ্ধার হয়নি। তবে গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া যাবে। তবে কিছুটা সময় লাগবে তিনি মন্তব্য করেন।