মরক্কোতে শক্তিশালী ভ‚মিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২০

প্রকাশিত: ২:১৩ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩

ডেস্ক রিপোর্ট:
মরক্কোতে শক্তিশালী ভ‚মিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২০ জনে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও কমপক্ষে ৬৭২ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়। রিখটার স্কেলে ওই ভ‚মিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৩২৯ জন। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার রাতে (৯ সেপ্টেম্বর) ভ‚মিকম্পটি আঘাত হানে।


এদিকে মরক্কোর ভ‚মিকম্প পর্যবেক্ষণ সংস্থার প্রধান লাহসেন মান্নি জানিয়েছেন, শক্তিশালী ওই ভ‚মিকম্পের পর আরও বেশ কয়েকবার মৃদু কম্পন (আফটারশক) অনুভ‚ত হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই ছিল ৫ মাত্রার। তবে তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, এই ভ‚মিকম্প থেকে সুনামি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।
মার্কিন ভ‚তাত্তি¡ক জরিপ (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ১১টার কিছু পরে ভ‚মিকম্পটি আঘাত হানে। ভ‚মিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল আটলাস পর্বতমালার ওকাইমেডেনের স্কি রিসোর্টের কাছে, যা জনপ্রিয় পর্যটন শহর মারাকেশ থেকে ৭৫ কিলোমিটার (৪৫ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত।


স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়। একই সঙ্গে জানানো হয় যে, আহতদের মধ্যে ৫১ জনের অবস্থা বেশ গুরুতর।
এদিকে মারাকেশের চিকিৎসক ডা. হেশাম খারমৌদি বলেন, শহরে আহতের সংখ্যা বাড়ছেই। তিনি বলেন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং স্বেচ্ছাসেবকরা লোকজনকে সহায়তা দিতে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কিছু এলাকায় পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
এই চিকিৎসক বলেন, চিকিৎসা কর্মী এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের লোকজন এই দুর্যোগের জন্য প্রস্তুত আছে। কিন্তু আমাদের এখন একমাত্র সমস্যা হলো রক্তের ব্যাগের রিজার্ভ ফুরিয়ে যাচ্ছে। তাই আমরা মানুষকে রক্তদানের আহŸান জানাচ্ছি।
ভ‚মিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য রক্তদানের আহŸান জানিয়েছে মারাকেশ আঞ্চলিক রক্ত সঞ্চালনকেন্দ্র। সেখানকার এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, অসংখ্য পুরোনো ভবন ধসে পড়েছে।


মারাকেশের স্থানীয় বাসিন্দা আবদেলহাক এল আমরানি (৩৩) বলেন, আমরা প্রচণ্ড কম্পন অনুভব করি। এরপরেই বুঝতে পারি যে, ভ‚মিকম্প আঘাত হেনেছে। তিনি বলেন, আমি দেখতে পাচ্ছিলাম যে, ভবনগুলো কাঁপছে। এরপরেই আমি বাইরে বেরিয়ে যাই এবং দেখি যে অনেকেই সেখানে আছে। লোকজন ভয়ে-আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসে। শিশুরা ভয়ে কাঁদছিল।
তিনি আরও বলেন, প্রায় ১০ মিনিট বিদ্যুৎ ছিল না এবং টেলিফোনের নেটওয়ার্কও ছিল না। পরে অবশ্য সব আবার স্বাভাবিক হয়েছে। তবে সবাই বাইরেই থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। মার্কিন ভ‚তাত্তি¡ক জরিপ জানিয়েছে, ভ‚মিকম্পটির গভীরতা ছিল ১৮.৫ কিলোমিটার।