ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো সিলেট

প্রকাশিত: ২:১৭ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩

সিলেট প্রতিনিধি:
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে সিলেটসহ আশপাশের অঞ্চল। সার্চ ইঞ্জিন গুগলের তথ্য বলছে, গতকাল শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা ১৮ মিনিটে অনুভ‚ত এ কম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশদিক ৯। ভ‚মিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের আসামের সোনাই থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে।
বাংলাদেশ ও ভারত ছাড়াও মিয়ানমারে এ কম্পন অনুভ‚ত হয়েছে বলে জানিয়েছে গুগল।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট সিলেটে ভ‚মিকম্প অনুভ‚ত হয়। সেদিন কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৬। এরও আগে গত ১৬ জুন সকাল ১০টা ৪৬ মিনিটে ভ‚মিকম্প অনুভ‚ত হয়। সিলেট ছাড়াও মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জ থেকে ভ‚কম্পন অনুভ‚ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। ভ‚মিকম্পটি ভ‚-পৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে সংঘটিত হয়, যার ভৌগোলিক অবস্থান ছিল ২৪ দশমিক ৭৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ ও ৯২ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ।
৪ দশমিক ৫ মাত্রার ভ‚মিকম্প প্রায় ১৫ সেকেন্ড স্থায়ী হয়। এ ভ‚মিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেটের গোলাপগঞ্জে, যা সিলেট শহর থেকে মাত্র ২৩ কিলোমিটার দূরে।

৬.
আইনের আওতায় কিশোর গ্যাংয়ের ১১০০ সদস্য
সাইফুল ইসলাম:
র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, ২০১৭ সালে র‌্যাব প্রথম কিশোর গ্যাং কালচার আবিষ্কার করে। আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। পদক্ষেপ নেওয়ার পরও অনেকে এসব কার্যক্রম থেকে সরে আসছে না। কিশোর গ্যাং কালচারের সঙ্গে জড়িত ১১০০ সদস্যকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি। আজ শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, সারা বাংলাদেশে কিশোর গ্যাং দমনে ও এরসঙ্গে যারা জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে যেসব আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন তা নেওয়া হবে।
নির্বাচন সামনে রেখে মোহাম্মদপুর, আদাবর ও মিরপুর এলাকায় কিশোর গ্যাং ও সন্ত্রাসী বাহিনীরা সরব হচ্ছে। এ বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কী ব্যবস্থা নেবে? এমন প্রশ্নের জবাবে খন্দকার আল মঈন বলেন, ঢাকা উদ্যান, আদাবর, শ্যামলী, মোহাম্মদপুরসহ র‌্যাব-২ এর এলাকায় গত তিন মাসে এ ধরনের কিশোর গ্যাং বা যারা বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ছিল তাদের ৮০ থেকে ৯০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর তারা জামিনে বেরিয়ে আসে। কিছুদিন আত্মগোপনে থাকার পর আবার তারা একত্রিত হয়ে একই অপরাধ করতে থাকে।
তিনি বলেন, র‌্যাব তথ্য উপাত্ত ও ভিডিও ফুটেজের উপর ভিত্তি করে অপরাধীদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করে। নিয়মিত মামলা দিয়ে তাদের আইনের আওতায় আনার পর অনেকেই জামিনে মুক্তি পেয়ে বেরিয়ে আসছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিশোর গ্যাং কিংবা সন্ত্রাসীরা যখন আত্মগোপনে বা বাহিরে থাকে তখন তারা আধিপত্য বিস্তারের জন্য কারো ছত্রছায়ায় এ কাজগুলো করে। পল্লবীতে এক শিশুর সামনে তার পিতাকে হত্যার ঘটনায় পরিকল্পনাকারী একজন এমপি ছিলেন। তাকেও র‌্যাব গ্রেফতার করেছিল। যারাই জড়িত থাকুক, আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসছি।