নির্বাচনকালে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ প্রস্তুত: আইজিপি

প্রকাশিত: ৮:৩৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩

বগুড়া প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ও বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, বাংলাদেশ পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করে আসছে। নির্বাচনকালে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। গতকাল শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়ায় বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠান উত্তরবঙ্গের অত্যাধুনিক শপিং কমপ্লেক্স ‘পুলিশ প্লাজা বগুড়া’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশ পুলিশের লজিস্টিকস, ইকুইপমেন্টস বেড়েছে। ফলে পুলিশের সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, এখন কোন অপরাধ সংঘটিত হলে দ্রুততম সময়ে অপরাধের রহস্য উদঘাটিত হচ্ছে। সুতরাং আইনশৃঙ্খলাজনিত যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পুলিশ সক্ষম।
আইজিপি বলেন, কেউ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্ন করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


বাংলাদেশ পুলিশ প্রধান বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করে আসছে। নির্বাচনকালে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশ পুলিশের লজিস্টিকস, ইকুইপমেন্টস বেড়েছে। ফলে পুলিশের সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, এখন কোন অপরাধ সংঘটিত হলে দ্রুততম সময়ে অপরাধের রহস্য উদঘাটিত হচ্ছে।
পুলিশ প্লাজা বগুড়া উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইজিপি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির আলোকে পুলিশ সফলভাবে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ করেছে। দেশে এখন স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। ফলে দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ রয়েছে। দেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ৫ কোটি টাকার আর্থিক আনুক‚ল্যে ২০০০ সালে বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে। পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের অর্জিত অর্থ জনগণের জানমাল রক্ষার নিমিত্ত পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে গুরুতর আহতদের চিকিৎসা ও নিহতদের পরিবারের সদস্যদের কল্যাণে ব্যয় করা হয়।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার পর এ পর্যন্ত ১২ হাজার পুলিশ সদস্যকে ৭১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পুলিশ প্লাজা বগুড়া উত্তরাঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটাবে। এ মার্কেটের আয় পুলিশ সদস্যদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে। দশতলা বিশিষ্ট পুলিশ প্লাজা বগুড়া শপিং কমপ্লেক্সে ২১৮টি দোকান রয়েছে।
এর আগে সকালে আইজিপি বগুড়া জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। পরে আইজিপি বগুড়া জেলা পুলিশ লাইনসে ড্রিল শেড, নারী ব্যারাক ও কম্পিউটার ল্যাব উদ্বোধন করেন। তিনি পুলিশ লাইনস চত্বরে একটি গাছের চারা রোপণ করেন।


বগুড়া জেলার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বগুড়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য মো. হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত আইজিপি আবু হাসান মুহাম্মদ তারিক, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, ডিআইজি (অর্থ) এস এম মোস্তাক আহমেদ খান, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনিসুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার , অতিরিক্ত ডিআইজি ড. শোয়েব রিয়াজ আলম, বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে রাজশাহী রেঞ্জের জেলাসমূহের পুলিশ সুপারগণ, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এবং গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সবশেষে আইজিপি রাজশাহী রেঞ্জ, রাজশাহী মেট্রোপলিটন ও বগুড়া জেলা পুলিশের আয়োজনে বগুড়া পুলিশ লাইনসের নবউদ্বোধনকৃত ড্রিল শেডে রাজশাহী বিভাগের সকল পুলিশ ইউনিটের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যদের সাথে বিশেষ কল্যাণ সভায় মতবিনিময় করেন।