ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদের কারাদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

প্রকাশিত: ৮:৫৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দদুক) করা মামলায় কারা অধিদপ্তরের সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি প্রিজনস বজলুর রশিদকে বিচারিক আদালতের দেওয়া পাঁচ বছরের দণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ১৯ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ হয়েছে।


চলতি বছরের ১৮ জুন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক বেঞ্চ তার আপিল খারিজ করে রায় ঘোষণা করেন। আদালতে ওইদিন দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আপিল আবেদনের পক্ষে ছিলেন মো. মাসুদ-উল হক ও মোহাম্মদ হুমায়ন কবির।
এর আগে গত বছরের ৩ নভেম্বর বজলুর রশিদের খালাস চেয়ে করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তার জরিমানা স্থগিত করে নিম্ন আদালতের নথি তলব করেন।
খুরশীদ আলম খান বলেন, গত বছরের ২৩ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। এছাড়া রাষ্ট্রের অনুকূলে তিন কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। এর বিরুদ্ধে তিনি আপিল করেছিলেন। শুনানি শেষে পাঁচ বছরের দণ্ড ও জরিমানা বহাল রাখেন আদালত। তবে তাকে সশ্রম কারাদণ্ডের স্থলে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর বেলা ১১টা থেকে বজলুর রশীদ ও তার স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহারকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুরে দুদক পরিচালক মো. ইউসুফের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে গ্রেফতার করে।
২০২০ সালের ২৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দীন বজলুর রশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ওবি বছরের ২২ অক্টোবর মামলায় বজলুর রশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।


অভিযোগপত্রে বলা হয়, বজলুর রশিদ রূপায়ন হাউজিং এস্টেট থেকে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী রোডের ৫৫/১ (পুরাতন) ৫৬/৫৭ (নতুন) নির্মাণাধীন স্বপ্ন নিলয় প্রকল্পের ২৯৮১ বর্গফুট আয়তনের অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন। অ্যাপার্টমেন্টের মূল্য বাবদ তিন কোটি আট লাখ টাকা পরিশোধও করেছেন। এ অ্যাপার্টমেন্ট কেনায় বজলুর রশিদ যে টাকা পরিশোধ করেছেন, এর সপক্ষে কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি। এমনকি তিনি অ্যাপার্টমেন্টের ক্রয় সংক্রান্ত কোনো তথ্য তার আয়কর নথিতে দেখাননি। পরিশোধিত তিন কোটি আট লাখ টাকা জ্ঞাত আয় উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।
সবমিলিয়ে তার নামে তিন কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক আইন ২৭ (১) ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। কারা ক্যাডারের ১৯৯৩ ব্যাচের কর্মকর্তা বজলুর রশিদ ঢাকায় কারা সদর দপ্তরে দায়িত্ব পালন করেন।