সেলিনা আক্তার:
বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। বাজার মনিটরিং করে যদি দেখা যায়, তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না, তাহলে আরও আমদানির অনুমতি দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
আজ রোববার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই তথ্য জানান।
সচিব বলেন, ‘গতমাসে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী একটি দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সাড়ে ১০ টাকা উৎপাদন খরচ। আর খুচরা পর্যায়ে বিক্রির জন্য ১২ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে খুচরা পর্যায়ে এই দামে বিক্রি হচ্ছে না বলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর দেখতে পেয়েছে। সেজন্য বাণিজ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে আমরা কিছু ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। চারটি কোম্পানিকে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কোম্পানি এক কোটি ডিম আমদানি করতে পারবে।’
কোথা থেকে আমদানি করা হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একটি কোম্পানি বলেছে- ভারত থেকে ডিম আনবে। বাকি তিনটির বিষয়ে আমার খেয়াল নেই। তবে যে কোনো উৎস থেকে তারা ডিম আনতে পারবে। যেখানে দাম কম পাবে, কিংবা যেখান থেকে দ্রুত আনতে পারবে।’
আমদানিতে কোনো শর্ত আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে কোনো শর্ত নেই। সুবিধামতো আনবে, যাতে ভোক্তারা কম দামে পান। তবে বিক্রির ক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় যে দাম বেঁধে দিয়েছে, সেই দামেই বিক্রি করতে হবে। অর্থাৎ, ১২ টাকায় ডিম বিক্রি করতে হবে।’
যেসব দেশে অ্যাভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা কিংবা অন্য সমস্যা আছে, সেসব দেশ থেকে ডিম আমদানি করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন এই সিনিয়র সচিব। তিনি বলেন, ‘আমরা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ করেছি। সেই ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ, বাজারকে আমরা স্থিতিশীল করতে চাচ্ছি।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘আপনারা জানেন, বাংলাদেশে প্রতিদিন চার কোটি ডিম লাগে। সেক্ষেত্রে আমরা একদিনের ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছি। এতে মার্কেটে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে কিংবা আমাদের খামারিরা খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছি না। তবে আমদানির অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে অবস্থা বুঝে আমরা সিদ্ধান্ত নিই।’
‘বাজার নিয়ন্ত্রণ করা গেলোই না। এরমধ্যে ডলার সংকট রয়েছে। তার মধ্যে এই আমদানির অনুমতির সিদ্ধান্ত। তাহলে বাজার নিয়ন্ত্রণে কী সরকার ব্যর্থ হচ্ছে না?’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বাজার নিয়ন্ত্রণ বলতে বাজারটা স্থিতিশীল বা আগের যে দাম ছিল সেখান থেকে খুব বেশি বেড়ে না যাওয়া যদি বুঝি; তাহলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হাতে যে টুলসগুলো আছে, তা হচ্ছে- উৎপাদন কত হচ্ছে, আমদানি কত হচ্ছে, এই দুটি মিলিয়ে আমরা বাজারের চাহিদা মেটাতে পারছি কি না সেটি।’
সচিব বলেন, ‘অবশ্যই আমরা দেশের যুবসমাজের কর্মসংস্থানের বিষয়টি দেখব। দেশের মানুষের আর্থিক উন্নয়নে এই শিল্প দেশে গড়ে উঠুক, তা সবাই চায়। সরকারেরও মূল লক্ষ্য এটা। কিন্তু যখন এই সুযোগে বাজার থেেেক কেউ বেশি মূল্য নিতে চায়, ভোক্তাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে যায়, তখন আমদানির কথা ভাবতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি বোঝাতে চাচ্ছি, আমরা আরও আমদানির অনুমতি দেব কি না, তা বাজার পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। আমরা প্রতিনিয়তই বাজার মনিটরিং করছি। দরকার হলে আরও আমদানি অনুমতি দেব, দরকার না হলে নাও দিতে পারি। দেশের উৎপাদিত ডিমকে প্রাধান্য দিতে চাই।’
বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। বাজার মনিটরিং করে যদি দেখা যায়, তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না, তাহলে আরও আমদানির অনুমতি দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
আজ রোববার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই তথ্য জানান।
সচিব বলেন, ‘গতমাসে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী একটি দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সাড়ে ১০ টাকা উৎপাদন খরচ। আর খুচরা পর্যায়ে বিক্রির জন্য ১২ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে খুচরা পর্যায়ে এই দামে বিক্রি হচ্ছে না বলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর দেখতে পেয়েছে। সেজন্য বাণিজ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে আমরা কিছু ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। চারটি কোম্পানিকে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কোম্পানি এক কোটি ডিম আমদানি করতে পারবে।’
কোথা থেকে আমদানি করা হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একটি কোম্পানি বলেছে- ভারত থেকে ডিম আনবে। বাকি তিনটির বিষয়ে আমার খেয়াল নেই। তবে যে কোনো উৎস থেকে তারা ডিম আনতে পারবে। যেখানে দাম কম পাবে, কিংবা যেখান থেকে দ্রুত আনতে পারবে।’
আমদানিতে কোনো শর্ত আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে কোনো শর্ত নেই। সুবিধামতো আনবে, যাতে ভোক্তারা কম দামে পান। তবে বিক্রির ক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় যে দাম বেঁধে দিয়েছে, সেই দামেই বিক্রি করতে হবে। অর্থাৎ, ১২ টাকায় ডিম বিক্রি করতে হবে।’
যেসব দেশে অ্যাভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা কিংবা অন্য সমস্যা আছে, সেসব দেশ থেকে ডিম আমদানি করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন এই সিনিয়র সচিব। তিনি বলেন, ‘আমরা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ করেছি। সেই ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ, বাজারকে আমরা স্থিতিশীল করতে চাচ্ছি।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘আপনারা জানেন, বাংলাদেশে প্রতিদিন চার কোটি ডিম লাগে। সেক্ষেত্রে আমরা একদিনের ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছি। এতে মার্কেটে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে কিংবা আমাদের খামারিরা খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছি না। তবে আমদানির অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে অবস্থা বুঝে আমরা সিদ্ধান্ত নিই।’
‘বাজার নিয়ন্ত্রণ করা গেলোই না। এরমধ্যে ডলার সংকট রয়েছে। তার মধ্যে এই আমদানির অনুমতির সিদ্ধান্ত। তাহলে বাজার নিয়ন্ত্রণে কী সরকার ব্যর্থ হচ্ছে না?’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বাজার নিয়ন্ত্রণ বলতে বাজারটা স্থিতিশীল বা আগের যে দাম ছিল সেখান থেকে খুব বেশি বেড়ে না যাওয়া যদি বুঝি; তাহলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হাতে যে টুলসগুলো আছে, তা হচ্ছে- উৎপাদন কত হচ্ছে, আমদানি কত হচ্ছে, এই দুটি মিলিয়ে আমরা বাজারের চাহিদা মেটাতে পারছি কি না সেটি।’
সচিব বলেন, ‘অবশ্যই আমরা দেশের যুবসমাজের কর্মসংস্থানের বিষয়টি দেখব। দেশের মানুষের আর্থিক উন্নয়নে এই শিল্প দেশে গড়ে উঠুক, তা সবাই চায়। সরকারেরও মূল লক্ষ্য এটা। কিন্তু যখন এই সুযোগে বাজার থেেেক কেউ বেশি মূল্য নিতে চায়, ভোক্তাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে যায়, তখন আমদানির কথা ভাবতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি বোঝাতে চাচ্ছি, আমরা আরও আমদানির অনুমতি দেব কি না, তা বাজার পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। আমরা প্রতিনিয়তই বাজার মনিটরিং করছি। দরকার হলে আরও আমদানি অনুমতি দেব, দরকার না হলে নাও দিতে পারি। দেশের উৎপাদিত ডিমকে প্রাধান্য দিতে চাই।’