চা-কফির সাথে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট মিশিয়ে বিক্রয় করতো ওরা

প্রকাশিত: ৬:১৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩

এসএম দেলোয়ার হোসেন:
ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপন দিয়ে যৌন উত্তেজক কফি ও চা বিক্রয় করে আসছিল সংঘবদ্ধ একটি চক্র। তারা দীর্ঘদিন ধরে চা-কফির সঙ্গে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট মিশিয়ে বিদেশি প্রোডাক্ট বলে প্যাকেটজাত করে বিক্রয় ও সরবরাহ করছিল। সেই সংঘবদ্ধ চক্রের সন্ধান পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে চক্রের সক্রিয় ৪ সদস্যকে। এসময় তাদের কাছ থেকে যৌন উত্তেজক ভেজাল চা-কফি ও বিপুল সংখ্যক স্টীকার উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতাররা হলেন- মো. রাতুল ইসলাম, মো. রাকিবুল ইসলাম ওরফে রায়হান, মো. আরাফাত হোসেন সাব্বির ও মো. আল-আমিন ইসলাম। আজ মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিএমপির ডিবি কম্পাউন্ডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।


তিনি বলেন, গতকাল সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) গোপন সংবাদে সহকারী পুলিশ কমিশনার মো: ইমরান হোসেন মোল্লার নেতৃত্বে হাজারীবাগ থানা এলাকার একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। এসময় সন্ধান মেলে যৌন উত্তেজক চা-কফি বিক্রয়ের গোপন আস্তানা। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় চক্রের সক্রিয় ৪ সদস্যকে। এরপর তাদের হেফাজত থেকে ওই ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে ৯০০ প্যাকেট ভেজাল কফি, ২০ কেজি ভেজাল কফির গুড়া, ২০ কেজি ভেজাল চায়ের গুড়া, ১টি ল্যাপটপ ও বিপুল পরিমাণ স্টিকার উদ্ধারমূলে জব্দ করা হয়।
ডিবি প্রধান বলেন, গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে কফি ও চায়ের মধ্যে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটের গুড়ো মিশিয়ে প্যাকেটজাত করে কোরিয়ান প্রোডাক্ট হিসেবে বিভিন্ন ধরণের স্টিকার লাগিয়ে বিক্রি কওে আসছিল। এছাড়াও ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপন দিয়ে অনলাইনে অর্ডার নিয়ে পাঠাও সার্ভিসের মাধ্যমে সরবরাহ করতো। চক্রটি কোরিয়ান জিনসেং কফি/চা হিসেবে বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এসব কফি ও চা পান করে মানুষ রোগাক্রান্ত হচ্ছে। গ্রেফতারকৃতদের হাজারীবাগ থানার মামলায় আজ দুপুরের দিকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানানা ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।