কানাডার কূটনীতিককে পাল্টা বহিষ্কার করে ভারতের ‘আল্টিমেটাম’
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
কানাডায় খালিস্তানপন্থি নেতা প্রধান হারদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে ভারতকে কাঠগড়ায় তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এই ঘটনায় দিল্লি জড়িত থাকতে পারে জানিয়ে একজন ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে অটোয়া। প্রতিবাদে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পাল্টা কানাডার একজন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে পাঁচ দিনের মধ্যে ভারত ছাড়ার আল্টিমেটাম দিয়েছে মোদি সরকার।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) হাউজ অব কমন্সে ট্রুডো বলেছেন, ‘শিখ নেতা নিজ্জার হত্যার পেছনে ভারতীয় সরকারের হাত থাকতে পারে। কানাডীয় গোয়েন্দা সংস্থা তার মৃত্যু এবং ভারতীয় সরকারের মধ্যে একটি ‘বিশ্বাসযোগ্য’ যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছে।’
এ বিষয়ে জাস্টিন ট্রুডো আরও বলেন, ‘কানাডার ভূখণ্ডে একজন কানাডিয়ান নাগরিককে হত্যার সঙ্গে বিদেশি সরকারের জড়িত থাকা আমাদের সার্বভৌমত্বের জন্য লঙ্ঘন, যা অগ্রহণযোগ্য এবং মৌলিক নিয়মের পরিপন্থি।’
এরপরই কানাডায় নিযুক্ত ভারতের বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংয়ের ‘র’-এর প্রধানকে বহিষ্কারের কথা জানান দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এর ঘণ্টাখানেক পর মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ট্রুডোর অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করে দিল্লি।
মোদি সরকার জানিয়েছে, আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কানাডার কূটনীতিকদের হস্তক্ষেপ ও ভারতবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকায় দেশটির একজন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে দিল্লি।
সম্প্রতি দিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে অন্যান্য নেতার সঙ্গে মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হলেও জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে হয়নি। তখন থেকে দুদেশের সম্পর্কের অবনতির গুঞ্জনের ডালপালা মেলেছে। আর গতকাল সোমবার থেকে নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে বিষয়টি স্পষ্ট হয়।
ভারতীয় হাইকমিশন বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘কানাডার হাইকমিশনারকে তলব করা হয়েছিল। ভারত তাদের এক কূটনীতিককে বহিষ্কারের কথা জানিয়ে দিয়েছে। আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে দেশ ছাড়তে বলা হয়েছে ওই কূটনীতিককে। আমাদের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে কানাডীয় কূটনীতিকদের মাথা ঘামানো থেকে ভারতবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকায় দিল্লি উদ্বিগ্ন। এই সিদ্ধান্ত তারই প্রতিফলন।’