সাইফুল ইসলাম:
রাজধানীর পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পরিবহন সেক্টরকে জিম্বি করে চাঁদা আদায় করে আসছিল সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্র। ওই চক্রের সক্রিয় ১০ সদস্য অবশেষে র্যাবের হাতে ধরা পড়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে চাঁদা তোলার টাকা উদ্ধারমূলে জব্দ করা হয়েছে। গ্রেফতাররা হলেন- রমজান (৩৬), সাফায়েত হোসেন (২৩), জীবন হোসেন (২৩), সুমন (৪২), ফারুক হোসেন (৪১), হাবিবুর রহমান (৩৫), তামজিদ হোসেন রবিন (৩০), ফজলুর রহমান রানা (৩৩), মোস্তফা কামাল হাসান (৩৫) ও শফিক (৩৬)। আজ বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নিউজ পোস্টকে এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-১০ এর মিডিয়া অফিসার সিনিয়র এএসপি এম ফখরুল হাসান।
তিনি জানান, আজ বুধবার দুপুরে র্যাব-১০ এর একটি দল গোপন সংবাদে জানতে পারে- সংঘবদ্ধ একটি চাঁদাবাজ চক্র নানান পরিচয়ে নানান কৌশলে ভয়ভীতি দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়া ও ওয়ারী এলাকায় বিভিন্ন পরিবহন থেকে চাঁদা আদায় করে আসছে। এমন অভিযোগে র্যাব-১০ এর একটি দল আজ সকালেই অভিযোগের সত্যতা পেয়ে গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে চাঁদাবাজদেও অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। এরপর দুপুরের দিকে র্যাব-১০ এর পৃথক ৩টি দল পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়া থানাধীন সুইপার কলোনি এলাকায় ও ওয়ারী থানাধীন স্বামীবাগ এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরি, লেগুনা ও সিএনজি অটোরিকশাসহ বিভিন্ন পরিবহনে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়কালে ১০ জনকে গ্রেফতার করে। তখন তাদের কাছ থেকে পরিবহন সেক্টর থেকে চাঁদা তোলার নগদ ১১ হাজার ৮০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
এএসপি এম ফখরুল হাসান বলেন, গ্রেফতাররা বেশ কিছুদিন ধরে গেন্ডারিয়া ও ওয়ারীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরি, লেগুনা ও সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন পরিবহনের চালক ও হেলপারদের সঙ্গে অশোভন আচরণের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছিল। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় পৃথক মামলা রুজু করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।