মার্কিন ধনকুবের ও দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টের মালিক জেফ বেজোসের মোবাইল ফোন হ্যাকডকাণ্ডে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নাম উঠে এসেছে। ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডেও এই যুবরাজের সংশ্লিষ্টতার জোরালো অভিযোগ বহুদিন ধরেই আলোচিত হচ্ছে।
সৌদি আরবের শাসনের কড়া সমালোচক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ড ও তারই পত্রিকার মালিক জেফ বেজোসের ফোন হ্যাকডের ঘটনায় বিশ্বব্যাপী তোলপাড় চলছে। জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হওয়ার পর বিশ্বের শীর্ষ ধনীর ফোন হ্যাকডের ঘটনায় সত্যিকারের চাপে পড়েছেন সৌদি যুবরাজ। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।
চতুর যুবরাজ এসবের সমালোচনা বন্ধে উদ্যোগী হয়েছেন। আগের মতো টুটি চেপে ধরার চেষ্টায় সৌদি সরকার। তবে সমালোচনা বন্ধে সৌদি আরবের কড়া অবস্থানের বিষয়ে তদন্তের পরিসর বাড়িয়েছে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা।
জেফ বেজোস ২০১৮ সালের বসন্তে তিন সপ্তাহের আন্তঃদেশীয় সফরে যুক্তরাষ্ট্রে যান। মূলত সৌদি আরবের প্রগতিশীল ভিশন তুলে ধরতেই ছিল তার এ সফর।
এ সফরে মার্কিন ধনকুবের ও দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টের মালিক জেফ বেজোসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সৌদি যুবরাজ। এ সময়েই মোহাম্মদ বিন সালমানের কড়া সমালোচনা করে জামাল খাসোগির লেখা প্রতিবেদন ছাপায় বেজোসের ওয়াশিংটন পোস্ট। এর পরই বেজোসের ফোন হ্যাকড হয়।
২০১৮ সালের অক্টোবরে ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে ওয়াশিংটন পোস্টের কলামনিস্ট জামাল খাসোগিকে হত্যার পর মরদেহ কেটে টুকরো টুকরো করে সৌদি গোয়েন্দারা। সেই দায় থেকে রেহাই পেতে সৌদি যুবরাজের চেষ্টার অংশ হিসেবে জেফ বেজোসকে হুমকি দেয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ জাতিসংঘের খ্যাতিমান দুই মানবাধিকার বিশেষজ্ঞের।
এই হ্যাকিংকাণ্ডের সরাসরি তদন্ত করেননি তারা, তবে সমালোচনাপ্রবণ কণ্ঠকে দমন ও ভবিষ্যৎকে সেই দমনের নিশানা হবেন, সেই সম্ভাবনা বেড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সৌদি আরবের গোপনীয় চেষ্টার একটি বাহ্যিক তদন্তের অনুমতি দিয়েছিলেন। যদিও নিউইয়র্ক টাইমসও স্বাধীনভাবে হ্যাকিংয়ের ঘটনার সত্যাসত্য যাচাই করতে সক্ষম হয়নি।
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের একজন অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেন, জেফ বেজোসের ফোন হ্যাকিং অনেক বড় ঘটনা। তিনি কোনো সৌদি নাগরিক না, তিনি কৌশলগত আগ্রহের ব্যক্তি এবং ওয়াশিংটন পোস্টের মালিক হওয়ার কারণেই তিনি হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছেন।
বুধবার দুই বিশেষজ্ঞের বিবৃতি অনুসারে, হোয়াটসঅ্যাপে যুবরাজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে একটি সাংকেতিক কোডের ভিডিও গ্রহণ করেন আমাজনের প্রধান নির্বাহী বেজোস। আর এই ভিডিও ডিজিটাল স্পাইওয়্যারে ভরা ছিল।
স্পাইওয়্যার সফটওয়্যার সাধারণত নিজের অজান্তেই ডিভাইসে ডাউনলোড ও ইনস্টল হয়ে তথ্য অন্য কোনো কারও কাছে পাচার করে দেয়। গুপ্তচরবৃত্তির জন্যই এটি ব্যবহার করা হয়।
কাজেই পশ্চিমা বিশ্বে এমবিএস নামে পরিচিত যুবরাজের ওই ভিডিও দেখার পর বেজোস নিজের ফোনে অন্যের নজরদারি সক্রিয় করে দেন। ২০১৮ সালের মে মাসে এ ঘটনা শুরু হয়েছে। ক্যালামার্ডের মতে, পরবর্তী ৯ মাস ধরে অর্থাৎ ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেজোসের ফোনে এই নজরদারি অব্যাহত ছিল।
রক্ষণশীল সৌদি সমাজে নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দিয়ে ও বিনোদনের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর মধ্য দিয়ে বাদশাহর ছেলে মোহাম্মদ বিন সালমানের দেশটির কার্যত নেতা হিসেবে নিজের উত্থান ঘটে। কিন্তু দেশে ও বিদেশে ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর ব্যাপক ধরপাকড়েরও তদারকিতে ছিলেন তিনি।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সৌদি আরবের বহুল পরিচিত ভিন্নমতাবলম্বীদের যোগাযোগের ডিভাইসে আড়িপাতা ও হ্যাংকিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া সমালোচকদের ছাপিয়ে যেতে সামাজিকমাধ্যমে হস্তক্ষেপ করে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রশংসা ছড়ানো হয়েছে। এসব ঘটনার নথিভুক্ত করেছে বিভিন্ন প্রযুক্তি গবেষক ও মানবাধিকার গোষ্ঠী।
কিন্তু এরকম প্রভাবশালী আমেরিকান নাগরিককে হ্যাকিংয়ের নিশানা বানানো, যিনি কিনা বিশ্বের শীর্ষ ধনী— একটু বেশিই বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে।
তবে বেজোসের সেলফোন হ্যাকিংয়ে যুবরাজের জড়িত থাকার অভিযোগকে উদ্ভট বলে আখ্যায়িত করেছে ওয়াশিংটনে সৌদি দূতাবাস। সৌদি ভিন্নমতাবলম্বীদের মোবাইল হ্যাকিং নিয়ে প্রশ্নেরও সাড়া দিতে অনাগ্রহ দেখিয়েছে তারা।
ওয়াশিংটন পোস্টের মালিক হওয়ায় বেজোসের মোবাইল হ্যাকিংয়ের ঘটনা বিশেষভাবে স্পর্শকাতর। পত্রিকাটি সৌদিকে নিয়ে সমালোচনামূলক লেখা ও সংবাদ কাভারেজ দিয়েছে। এ ছাড়া নিহত জামাল খাসোগির ইস্যুটি টিকিয়ে রেখেছে। এই সৌদি লেখক পত্রিকাটিতে নিয়মিত কলাম লিখতেন।
রিয়াদ থেকে পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নিয়েছিলেন খাসোগি। তার লেখায় স্বয়ং যুবরাজকেও সমালোচনায় বিদ্ধ করতেন তিনি। বেজোসের ফোন হ্যাক হওয়ার ছয় মাস পর ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেটে গুপ্তহত্যার শিকার হন এই সাংবাদিক। নিজের তুর্কিশ বাগদত্তাকে বিয়ে করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আনতে কনস্যুলেটে ঢুকলে আর ফিরে আসতে পারেননি তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ বলছে, যুবরাজের নির্দেশেই এ হত্যাকাণ্ড। যদিও তিনিসহ অন্য সৌদি কর্মকর্তারা এ হত্যায় নিজেদের ভূমিকা থাকার কথা অস্বীকার করে আসছেন।
গত বছর ন্যাশনাল এনকোয়ারার ট্যাবলয়েডের প্রকাশক আমেরিকান মিডিয়া ইনকর্পোরেশনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ তোলেন বেজোস। ট্যাবলয়েডটি তখন মার্কিন অভিনেত্রী ও বিনোদন সাংবাদিক লোরেন স্যানচেজের সঙ্গে তার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা প্রকাশ করে দিয়েছে।
এর পর তাদের এ প্রতিবেদন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হয়নি বলে স্বীকার করে বেজোস প্রকাশ্য বিবৃতি না দিলে তার গ্রাফিক ছবি প্রকাশেরও হুমকি দিয়েছে ন্যাশনাল এনকোয়ারার।
সৌদি আরবের নির্দেশনাই ট্যাবলয়েডটি এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আভাস দেন বেজোস। এনকোয়ারারের মূল কোম্পানিটি বলছে, বেজোসের যে ছবি ও খুদেবার্তা তাদের হাতে এসেছে, তার মূল উৎস সেনচেজের ভাই মাইকেল।
বিবৃতিতে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলেন, খাসোগিকে হত্যার পর বেজোসের ভাবমর্যাদা কলঙ্কিত করতে সামাজিকমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার শুরু করে সৌদি আরব।
‘এটি তখনই করা হয়েছে, যখন সৌদি খাসোগি হত্যার তদন্ত করছিল ও দায়ীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসার কথা বলেছিল।’
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ওয়াশিংটন পোস্টের মালিক হওয়ার দরুণ বেজোস ও তার প্রতিষ্ঠান আমাজনকে টার্গেট করে ব্যাপক গোপনীয় অনলাইন প্রচার চালায় সৌদি আরব।
এই হ্যাকিংয়ের ঘটনায় বিশ্বের শীর্ষ এ ধনকুবেরের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। কিন্তু বুধবার খাসোগির তুর্কিশ বাগদত্তার পাশে দাঁড়ানো একটি ছবি পোস্ট করেন টুইটারে। এতে খাসোগির নাম খোদাই করা একটি পাথরে তার হাত রাখা। ছবির ক্যাপশন দিয়েছেন– ‘জামাল।’
এই সাংবাদিকের দেহাবশেষ কোথায় রয়েছে, এখন পর্যন্ত তা প্রকাশ করেনি সৌদি আরব।
জামাল খাসোগি হত্যার তদন্তে ছিলেন জাতিসংঘের বিচারবহির্ভূত হত্যাবিষয়ক বিশেষ দূত অ্যাগনেস ক্যালামার্ড ও বাকস্বাধীনতা বিষয়ক দূত ডেভিড কে। হ্যাকিং নিয়ে তাদের মূল্যায়নের ভিত্তিতে বেজোসের অনুরোধে একটি ফরেনসিক তদন্ত চালান তারা।
গত বছরের মাঝামাঝিতে বেজোসের ফোন হ্যাকের দুই মাসের মধ্যে বিদেশে অবস্থান করা চার সৌদি ভিন্নমতাবলম্বী অভিযোগ করেন, আমাজনের মালিকের ফোন হ্যাকে ব্যবহৃত প্রযুক্তি দিয়ে তাদের ফোনও হ্যাকড হয়েছে।
তাদের মধ্যে রয়েছেন কানাডায় বসবাসকারী ওমর আবদুল আজিজ, তার সামাজিকমাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের একজন অজ্ঞাত গবেষক। লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষণকারী ইয়াহইয়া আসিরি ও ব্রিটেন থেকে একটি ইউটিউব শোর উপস্থাপক গানেম আল মাসরির।
জাতিসংঘের বিশ্লেষকরা বলেন, এসব ঘটনা সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে কৌশলগত ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং সম্ভাব্য বিরোধীদের নজরদারির ধরনের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে।
২০১৮ সালের জুনে গানেম আল-মাসরির ফোন হ্যাক হয়েছিল। বুধবার তিনি বলেন, যেসব লোককে সৌদি আরব অপছন্দ করে, তাদের ওপর নজরদারি করতে স্বল্প-খরচের উপায় হিসেবে হ্যাংকিংকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এতে আপনার ওপর নজরদারি করতে এক হাজার লোককে না পাঠিয়েও সবসময় আপনাকে নজরে রাখা যাবে। আর এটা তো আপনার ফোনে। তারা আপনাকে শুনতে পাচ্ছেন। আপনি কার সঙ্গে কথা বলছেন, তা জানতে পারছেন।
বেজোসের হ্যাকিংয়ের কথা অস্বীকার করে এ ঘটনায় একটি তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটনে সৌদি দূতাবাস। তবে কে এই তদন্ত করবেন, সেই কথা বলেনি।
তবে হ্যাকিংয়ের এ অভিযোগে চাপে রয়েছেন সৌদি সিংহাসনের উত্তরসূরি। ২০১৭ সালে তখনকার লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরিকে আটকে রাখা, জামাল খাসোগি হত্যা, কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ ও ইয়েমেনে রিয়াদের পাঁচ বছরের হস্তক্ষেপ নিয়ে ব্যাপক নেতিবাচক খবরের পর নতুন অপরাধের দোষ গিয়ে পড়ল তার কাঁধে।
জি২০-এর সভাপতি হিসেবে সৌদি আরবের সামনে এক বিরূপ পরিস্থিতি তৈরি করেছে এসব ঘটনা। চলতি বছরে গ্রুপটির শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক সৌদি হবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। এতে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত দেশগুলোর নেতাদের জন্য সৌদি আরবের দরজা খুলে যাবে বলে আশা করে আছে দেশটি।
এই হ্যাকিংয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের সম্পর্কও জটিল করে তুলবে। খাসোগি হত্যার পরে আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও যুবরাজের পাশে ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন অস্ত্রের একটি বড় ক্রেতা ও নির্ভরযোগ্য আরব মিত্র হিসেবে যুবরাজের তারিফ করেছেন এই রিপাবলিক্যান প্রেসিডেন্ট। হোয়াইট হাউসের সাবেক কর্মকর্তাদের মতে, ট্রাম্পের জামাতা জারেড কুশনার ও যুবরাজ প্রায়ই হোয়াটসঅ্যাপে আলাপ করেন।
বেজোসের ফোনের হ্যাকের দ্রুত তদন্ত করতে যুক্তরাষ্ট্র ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা। তাদের বিবৃতিতে বেজোসের ফোনের ২০১৯ সালের ফরেনসিক বিশ্লেষণের কথা উঠে এসেছে।
তারা বলেন, হোয়াটসঅ্যাপে সৌদি যুবরাজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে পাঠানো একটি এমপি৪ ভিডিও নথির মাধ্যমে ২০১৮ সালের ১ মে বেজোসের ফোন হ্যাকড হয়েছিল। এ মূল্যায়ন নিয়ে তাদের মাঝারি থেকে উচ্চমাত্রার আত্মবিশ্বাস রয়েছে।
বেজোসের ফোন হ্যাক নিয়ে প্রতিবেদন নিউইয়র্ক টাইমস পর্যালোচনা করে দেখেছে। বলা হয়েছে, খাসোগি নিহত হওয়ার পর যুবরাজের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট থেকে নিয়মিতভাবেই বেজোসের ফোনে বার্তা আসত।
ওয়াশিংটন পোস্টের মালিকের অনুরোধে ব্যবসায়ী পরামর্শদাতা ফার্ম এফটিআই কনসালটিং তদন্ত করে এ প্রতিবেদনটি তৈরি করেছিল। পরে মূল্যায়নের জন্য তা জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের দেয়া হয়। ২০১৮ সালজুড়ে পাঠানো যুবরাজের বার্তা বলে দিচ্ছে, বেজোসের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তার ভালোই জানাশোনা ছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের ৮ নভেম্বর যুবরাজের কাছ থেকে একটি বার্তা পান বেজোস। তাতে এক নারীর ছবি রয়েছে, যাকে দেখতে স্যানচেজের মতো মনে হয়েছে।
ছবির ক্যাপশনে বলা হয়েছে, একজন নারীর সঙ্গে তর্ক করা সফটওয়্যার লাইসেন্স চুক্তি পড়ার মতোই। শেষে এসে, আপনি সবকিছুই তাচ্ছিল্য করতে পারবেন। কেবল বলবেন, আমি তোমার কথায় রাজি।
২০১৮ সালের এপ্রিলে লসঅ্যাঞ্জেলেসে একদিন রাতের খাবারের সময় ফোন নম্বর বিনিময় করেন যুবরাজ ও বেজোস। ওই দিন হোয়াটসঅ্যাপে প্রথম তাদের কথোপকথন হয়েছিল।