মিরসরাইয়ে বিএনপি-আওয়ামী লীগ সংঘর্ষে নিহত ১

প্রকাশিত: ১০:৩৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিএনপি-আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে জাহিদ হোসেন রুমন (১৬) নামের এক কিশোর নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন। আজ শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার আজমপুর বাজারে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জাহিদ হোসেন রুমন উপজেলার ওচমানপুর এলাকার মৃত নুরের জামানের ছেলে। রুমনকে ছাত্রলীগ কর্মী বলে দাবি করেছে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাসুদ করিম রানা।

বিএনপি দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, আগামী ৫ অক্টোবর বিএনপির ১৫ দিনের কর্মসূচির মধ্যে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে রোডমার্চ উপলক্ষে মিরসরাইয়ে একটি পথসভা করার কথা রয়েছে। তারই প্রস্তুতি হিসেবে আজ  শুক্রবার চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান ওচমানপুর ইউনিয়নে একটি সভার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের লোকজন তাদের ওপর হামলা করে। এতে সংঘর্ষ বেধে যায়। এসময় একজন নিহতসহ উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।

মিরসরাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাহিনুল ইসলাম স্বপন দাবি করেন, চট্টগ্রাম উত্তরজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে একটি প্রস্তুতি সভার আয়োজন করে। সভা শেষে বাড়ি ফেরার পথে আজমপুর বাজারে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হন।

এদিকে ওচমানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাহ্ আলম বলেন, বিএনপি নেতা নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের অনুসারীরা স্থানীয় আজমপুর বাজারে আমাদের ছাত্রলীগ নেতা হাসান ও তার কয়েকজন সহযোদ্ধার ওপর হামলা চালায়। এতে হাসপাতালে রুমন নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (মিরসরাই সার্কেল) মনিরুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত ও একাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ঘটনার পর থেকেই ঘটনাস্থলসহ আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। একইসঙ্গে সংঘর্ষের এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতিসহ জড়িতদের ধরতে ওই এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।