দেশে আর কোন গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষ থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৭:৪৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের গৃহহীন-ভূমিহীনদের ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’ এর মাধ্যমে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দেশে আর কোন গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষ থাকবে না। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধানের ১৬ অনুচ্ছেদের আলোকে নগর ও গ্রাম অঞ্চলের জীবনযাত্রার মানের বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে আমাদের সরকার নানামুখী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।’ আগামীকাল সোমবার (২ অক্টোবর) ‘বিশ্ব বসতি দিবস’ উপলক্ষ্যে আজ রোববার (১ অক্টোবর) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিশ্ব বসতি দিবস’ পালনের ধারাবাহিকতায় প্রতি বছরের ন্যায় এবারও দিবসটি পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘স্থিতিশীল নগর অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধারে টেকসই নগরসমূহই চালিকাশক্তি’ কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ের জন্য যথাযথ হয়েছে বলে আমি মনে করি।”
তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের জনসাধারণের সার্বিক উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেন; যাতে দেশের সকল মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয় এবং একই সঙ্গে নগর ও গ্রামাঞ্চলের সুষম উন্নয়ন হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে গৃহীত কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সরকার নগরগুলোকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকারের গৃহীত ও বাস্তবায়িত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প যেমন: মেট্রোরেল প্রকল্প, পদ্মা সেতু প্রকল্প, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প, বিভিন্ন উড়াল সড়ক নির্মাণ প্রকল্প এবং আশ্রয়ণ প্রকল্প নগরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধারে ভ‚মিকা রাখবে।’
তিনি বলেন, শহরগুলো হলো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধারের কেন্দ্রবিন্দু। নগরায়ণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ফল নয় বরং এর প্রকৃত চালিকা শক্তি। শহরগুলির প্রবৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধারের জন্য স্থিতিশীল নগর অর্থনীতি অপরিহার্য। নগরের অর্থনীতি স্থিতিশীল না হলে কী ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে কোভিড-১৯ এর সময় তা লক্ষ্য করা গেছে। কোভিড-১৯ বিশ্বের সামগ্রিক উন্নয়নের ধারাকে মন্থর করে দিলেও আমাদের সরকার এ অতিমারি মোকাবিলায় অসামান্য সাফল্য দেখিয়েছে, যা আজ বিশ্বে একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সুবিধা ৮ শতাংশ হতে ২৮ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে, যা শিগগিরই ৪০ শতাংশে উন্নীত করা হবে। এ সকল যুগান্তকারী পদক্ষেপসমূহ দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে স্থিতিশীল ও উন্নত অর্থনীতির দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে দেশের আপামর জনসাধারণের সার্বিক সহযোগিতা পাবো বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। এ লক্ষ্যে আমরা ভিশন ২০৪১ ঘোষণা করেছি। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ, উন্নত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। বাস্তবায়িত হবে জাতির পিতার আজীবন স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’। প্রধানমন্ত্রী ‘বিশ্ব বসতি দিবস ২০২৩’-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।