সাজ্জাদ হোসনে:
প্রাণঘাতী মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় একদিনে সারাদেশে প্রাণ গেল আরও ১১ জনের। তাদের মধ্যে ৮ জন ঢাকার এবং বাকি ৩ জন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৬৯ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৩৬৩ জন। আজ রোববার (১৫ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গতকাল শনিবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে আজ রোববার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৩৬৩ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৫৩৭ জন ও ঢাকার বাইরের ১ হাজার ৮২৬ জন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬১৪ জন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৯২ হাজার ৫ জন ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৬০৯ জন ভর্তি হয়েছেন।
একই সময়ে দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ১৬৯ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার ৭৩০ জন এবং ঢাকার বাইরের ৪৩৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২ হাজার ৫১৪ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৬২৮ জন এবং ঢাকার বাইরের ১ হাজার ৮৮৬ জন।
চলতি বছর আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২ লাখ ৩০ হাজার ২৭১ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৮৮ হাজার ৮৬৫ জন এবং ঢাকার বাইরের ১ লাখ ৪১ হাজার ৪০৬ জন।
ঢাকাসহ সারাদেশে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৮ হাজার ১৭৪ জন ডেঙ্গুরোগী। তাদের মধ্যে ঢাকায় ২ হাজার ৪১০ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি রয়েছেন ৫ হাজার ৭৬৪ জন।
২০২২ সালে ডেঙ্গুতে দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।