রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তা চায় এফবিসিসিআই
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
সেলিনা আক্তার:
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সহায়তা চেয়েছে দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) এফবিসিসিআই গুলশান কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ আহ্বান জানান সংগঠনটির সভাপতি মাহবুবুল আলম।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি খায়রুল হুদা চপল, মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, শমী কায়সার, মো. মুনির হোসেন, পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, প্রস্তাবিত কার্বন বর্ডার অ্যাডজাস্টমেন্ট মেকানিজমে (সিবিএএম) বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জিএসপি প্লাস মর্যাদা নিশ্চিতের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জনাই।
তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি ইইউয়ের মানবিক সহায়তার প্রশংসা করে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তা কামনা করেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এফবিসিসিআই-এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ায় মাহবুবুল আলমের প্রতি শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানান। এসময় তিনি বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে ইইউ-এর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তরুণদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সক্রিয় সহযোগিতার কথাও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত।
করোনা মহামারিতে ভ্যাকসিনসহ বাংলাদেশে যাবতীয় সহযোগিতা দেওয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশকে দেওয়া জিএসপি সুবিধা তিন বছর বাড়িয়ে ২০২৯ সাল পর্যন্ত বর্ধিত করায় ইইউয়ের প্রতি ধন্যবাদ জানান তিনি।
মাহবুবুল আলম বলেন, এ বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন হচ্ছে। যা দুই অঞ্চলের মধ্যে বন্ধুত্বের স্থায়ী অঙ্গীকারের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রপ্তানি গন্তব্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের তাৎপর্য তুলে ধরে মাহবুবুল আলম আরও বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৪৫ শতাংশ গেছে ইউরোপে। তৈরি পোশাক ও হিমায়িত খাদ্য এর মধ্যে অন্যতম। বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ইউরোপ আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশের জলবায়ুবিষয়ক কর্মকাণ্ডে এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিতে বিনিয়োগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি। ইইউয়ের এ সহায়তা জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, আধুনিক অবকাঠামো, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সরবরাহ চেইন, উন্নত জল ব্যবস্থাপনা, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, শিল্প দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলেও উল্লেখ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।