আগামী ১০০ দিন দেশটাকে পাহারা দিতে হবে: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৫:৫৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৭, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আগামী ১০০ দিন দেশটাকে পাহারা দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের অনুরোধ জানাই, আগামী ১০০ দিন দেশটাকে পাহারা দিতে হবে। কারণ, দেশটা বিশ্ববেনিয়াদের হাতে তুলে দিতে চাচ্ছে ওরা (বিএনপি)। ক্ষমতা পাহারা দিতে হবে না, ক্ষমতার পাহারাদার জনগণ। কিন্তু দেশটাকে পাহারা দিতে হবে। তারা (বিএনপি) ভেবেছে ঢাকা শহরে কয়েকটা সমাবেশ করে মানববন্ধন করে, সারা দেশ থেকে তাদের অগ্নিসন্ত্রাসীদের জড়ো করে সরকার হটিয়ে দেবে। এটা আওয়ামী লীগ সরকার, শেখ হাসিনার সরকার। এটিকে কয়েকটা মানববন্ধন, নয়া পল্টনে ২০-৩০ হাজার মানুষ জড়ো করে কিংবা অন্য জায়গায় কয়েক হাজার মানুষ জড়ো করে, কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে, আগুন ধরিয়ে এই সরকার হটানো সম্ভব না। ২০১৩-১৪ সালে অনেক চেষ্টা করেছিলেন। বহু গাড়ি, মানুষ পুড়িয়েছিলেন; শেখ হাসিনাকে হঠাতে পারেননি।’

দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে বিএনপি-জামায়াত এই দেশকে বিশ্ববেনিয়াদের হাতে তুলে দিতে চায়। তারা যে ক্ষমতায় যেতে চায় তা কিন্তু নয়, তাদের লক্ষ্য ক্ষমতায় যাওয়া নয়।‌ তারা জানে নির্বাচন হলেও তাদের পক্ষে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব নয়। তারা যে পানি ঘোলা করার চেষ্টা করছে, সেখানে মাছ তারা শিকার করতে পারবে না, শিকার করবে অন্যরা। সেটিও তারা জানে। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করা এবং বিশ্ব বেনিয়াদের হাতে দেশটাকে তুলে দেওয়া, দেশের সম্পদটাও তুলে দেওয়া।’

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের আগ্রাসনের আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ না জানানোয় বিএনপির সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি অবাক হয়ে লক্ষ করলাম, বিএনপি-জামায়াত যখনই নির্বাচনে আসে, তারা ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতি করে। জামায়াত তো ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতি করে। কিন্তু সেই বিএনপি-জামায়াতের মুখে এখন একটি কথা নাই, আজকে যে ফিলিস্তিনে পাখির মতো মানুষ শিকার করা হচ্ছে। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, সে নিয়ে একটি কথাও নাই। আর তারেক জিয়া নির্দেশ দেয়, এটি নিয়ে কথা বলার প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ বিশ্বমোড়লরা অখুশি হতে পারে, এজন্য তারা এ বিষয়ে কোনও কথা বলেন না। যারা বিশ্বমোড়লরা অখুশি হবে বলে একটি শব্দ উচ্চারণ করে না, তারা সুযোগ পেলে দেশটাকে বিক্রি করে দেবে।’