অনলাইনে ঋণ পাইয়ে দেয়ার বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণায় গ্রেফতার ৫

প্রকাশিত: ৭:২১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২১, ২০২৩

সাইফুল ইসলাম:
ভুয়া প্রতিষ্ঠান খুলে অনলাইনে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকের ঋণ পাইয়ে দেয়ার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের নকল অনুমোদনপত্র ঋণ জালিয়াতিপত্রসহ অন্যান্য নকল কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- মো. সৈয়দ আরিফ হাসান রনি, মো. সুমন ইসলাম হৃদয়, রাসেল আহমেদ, হাবিব ও খন্দকার মো. ফারুক। আজ শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে নিউজ পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া ডিএমপির ফাইনান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মাহমুদুল হাসান।
তিনি জানান, গতকাল শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকালে গোপন সংবাদে রাজধানীর মতিঝিল ও বনশ্রী এলাকায় অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে সৈয়দ আরিফ হাসান রনি, মো. সুমন ইসলাম হৃদয়, রাসেল আহমেদ, হাবিব ও খন্দকার মো. ফারুক নামে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের লোনের নকল অনুমোদনপত্র, নকল সিল ৭টি, ঋণের নকল চুক্তিপত্র, অফিস রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন ব্যাংকের নকল ঋণ আবেদনপত্র এবং গ্রাহককে প্রদানকৃত নকল মানি রিসিট জব্দ করা হয়।
এডিসি মাহমুদুল হাসান বলেন, ফেসবুকে দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ সংক্রান্ত তথ্য দেখে ইলমান খান নামে এক ব্যক্তি গ্রেফতারকৃত আরিফের সাথে যোগাযোগ করেন। এক পর্যায়ে আরিফ শিল্প ঋণ, এসএমই, পার্সোনাল লোন ও হোম লোনসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ প্রক্রিয়া করার কথা ইলমানকে জানায়। ভিকটিম তার কথা বিশ্বাস করে দুটি লোনের জন্য আরিফের সাথে লিখিত চুক্তি করে এবং অফিস খরচ, ঋণের প্রাক অনুমোদন অডিট বাবদ বিভিন্ন সময়ে ২১ লাখ ৫ হাজার টাকা প্রদান করেন। পরবর্তীতে ইলমান বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। ইলমান পাওনা টাকা ফেরত চাইলে অভিযুক্তরা টাকা না দিয়ে হুমকি প্রদান করে। এই ঘটনায় ইলমান ডিএমপির মতিঝিল থানায় মামলা রুজু করেন।
তিনি আরো বলেন, মামলাটি ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগে হস্তান্তর হলে ফাইনান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম তদন্ত শুরু করে। গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের অবস্থান সনাক্ত করে গতকাল শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকাল ৯টায় মতিঝিল ও বনশ্রী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। প্রতারণা এড়াতে লোন বা আর্থিক কাজের জন্য সরাসরি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা। এ ঘটনায় গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ৫ জনকে প্রতারণার মামলায় পুলিশ আজ দুপুরের দিকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।