ভৈরবে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা: কারণ জানালেন স্টেশন মাস্টার
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
কিশোরগঞ্জপ্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দুটি ট্রেনের ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনার কারণ জানালেন ভৈরব স্টেশন মাস্টার ইউসুফ। এ দুর্ঘটনায় ভৈরব স্টেশন থেকে দেওয়া সিগন্যালের কোনও ত্রুটি ছিল না বলে দাবি করেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে গণমাধ্যমে দুর্ঘটনার কারণ ব্যাখ্যা করে এ দাবি করেন স্টেশন মাস্টার।
তিনি জানান, রেলওয়ের সিগন্যাল সিস্টেম পুরোপুরি কম্পিউটারাইজড। যে কারণে কখনই একসঙ্গে দুটি ট্রেনের সংকেত দেওয়া যাবে না। ভৈরব স্টেশন থেকে শুধু এগারসিন্দুর ট্রেনের জন্য সংকেত দেওয়া হয়েছিল। মালবাহী ট্রেনটিকে স্টেশনে প্রবেশের জন্য কোনও প্রকার সিগন্যাল দেওয়া হয়নি। সুতরাং স্টেশনের সিগন্যাল সিস্টেমে কোনও ত্রুটি ছিল না।
স্টেশন মাস্টার ইউসুফ আরও জানান, ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের প্রবেশ সিগন্যাল না পাওয়ার পরও তা অমান্য করে মালবাহী ট্রেনটি স্টেশনে প্রবেশ করে। ফলে স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া এগারসিন্দুর ট্রেনকে ধাক্কা দিলে যাত্রীবাহী দুটি বগি উল্টে যায় এবং হতাহতের ঘটনাটি ঘটে।
দুর্ঘটনার পর শিডিউল কিছুটা এলোমেলো হয়েছে। তাই নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ট্রেন চলাচলের জন্য কিছুটা সময় লাগতে পারে। তবে আজকের মধ্যেই সব ট্রেন শিডিউল অনুযায়ী চলতে পারবে। দুর্ঘটনার পর বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা এগারসিন্দুর গোধূলি ট্রেনের সঙ্গে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। মালবাহী ট্রেনটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। একই সময় ভৈরব থেকে ঢাকায় যাচ্ছিল যাত্রীবাহী ট্রেন এগারসিন্দুর গোধূলি। ভৈরব রেলস্টেশনের আউটার পয়েন্টে ক্রসিংয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনের শেষ তিন বগিতে ধাক্কা দেয় মালবাহী ট্রেনটি। এতে যাত্রীবাহী ট্রেনের কয়েকটি বগি উল্টে যায়। দুর্ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষে ১৭ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর ১৫ জনের মরদেহ শনাক্ত শেষে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ ঘটনায় লোকোমাস্টার জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী লোকোমাস্টার আতিকুর রহমান ও গার্ড আলমগীর হোসেনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।