এসএম দেলোয়ার হোসেন:
রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে অপহৃত এক যুবককে অপহরণের অভিযোগ দায়েরের চার ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় চার ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়। ওই চার ছিনতাইকারীকে তিনদিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আসামিরা হলেন- মো. ইকবাল হোসেন হাওলাদার, মো. জাহাঙ্গীর জোমাদ্দার, মো. রাজু ও মো. আলামিন। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর খিলক্ষেত থানায় দায়ের করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের ৭ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা আক্তার তাদের প্রত্যেকের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ।
তিনি বলেন, সোমবার (২৩ অক্টোবর) সকালে অপহৃত রিমন চন্দ্র দে’র বাবার কাছে তার মোবাইল নম্বর থেকে ফোন আসে। ছেলের ফোন রিসিভ করার পর অপর পাশ থেকে এক ব্যক্তি বলেন, আপনার ছেলে আমাদের কাছে জিম্মি, তাকে সুস্থ শরীরে ফেরত পেতে চাইলে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। কিছুক্ষণ পর অপহরণকারীরা আবার ফোন করে ‘নগদ’-এর তিনটি নম্বরে ৫ লাখ টাকা দিতে বলে। উপায় না পেয়ে ভুক্তভোগীর বাবা তাদের দেওয়া নম্বরে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন। এ বিষয়ে অপহৃতের বাবা খিলক্ষেত থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
ডিসি শহিদুল্লাহ আরও বলেন, অভিযোগ পেয়ে খিলক্ষেত থানা পুলিশের দুটি টিমকে নিয়োজিত করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ক্যান্টনমেন্ট জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলামের নেতৃত্বে ক্যান্টনমেন্ট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মেরিনা আক্তারসহ খিলক্ষেত থানার একটি টিম সোমবার অপহৃত রিমনকে উদ্ধার করে। তাকে উদ্ধারের পর গাজীপুরের বাসন থানার সালনা বাজার ও ঢাকার খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ-২ এলাকায় অভিযান চালিয়ে চার অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার, ৫টি মোবাইল ফোন, একটি চাকু, একটি গামছা, রশি ও নগদ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
গুলশান বিভাগের ডিসি জানান, গ্রেফতাররা একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্র। তারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই ও অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করতো। গ্রেফতার প্রত্যেকের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ওই মামলায় আজ দুপুরের দিকে গ্রেফতারদের আদালতে পাঠানো হয়। বিজ্ঞ আদালত শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা আক্তার তাদের প্রত্যেকের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে এনে গ্রেফতারদের কাছ থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ।