আগস্টে ৪ হাজার ৫৭৫টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন: সংসদে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৯:১৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৬, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিরুদ্ধে চলতি বছর আগস্টে ১ হাজার ১৩৪টি অভিযান পরিচালনা করে ৪ হাজার ৫৭৫টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং ৪১.৪২ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আজ বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্ন-উত্তরে জাতীয় পার্টির সদস্য নাসরিন জাহান রতœার এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

নসরুল হামিদ বলেন, গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার ও অপচয় রোধে নানামুখী কর্মসূচি এবং বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা করা হয়েছে। গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার রোধে লিফলেট বিতরণ, মাইকিং, বিজ্ঞাপন (বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া), স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় সভা-সেমিনার আয়োজন, বিভিন্ন ধরনের মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে গ্যাসের সঠিক ব্যবহার, অবৈধ সংযোগ গ্রহণের ঝুঁকি, পরবর্তী সময়ে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা এবং গ্যাস আইন-২০১০ অনুযায়ী শাস্তির বিধান সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অবৈধ গ্যাস সংযোগ রোধে প্রত্যেক গ্যাস বিতরণ কোম্পানির কেন্দ্রীয় ভিজিলেন্স টিম ও আঞ্চলিক পরিদর্শন টিমের সংখ্যা বৃদ্ধি করে কার্যক্রম জোরদার করা এবং স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধির সহায়তায় এ কার্যক্রমকে অধিকতর বেগবান করা হয়েছে।

অবৈধ গ্যাস ব্যবহার রোধকল্পে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের দায়ে বিচ্ছিন্নকৃত গ্রাহক/গ্যাস ব্যবহারকারীর নাম, ঠিকানা, পরিচিতি মিডিয়ার মাধ্যমে জনসাধারণের নিকট প্রকাশ এবং পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে।

জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্যাসের অপচয় রোধে জ্বালানি দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্যাপটিভ পাওয়ার শ্রেণিভুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহকে কো-জেনারেশন/ট্রাই-জেনারেশনের মাধ্যমে জ্বালানি দক্ষতা ন্যূনতম ৭০% বজায় রাখার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়া ‘গ্যাস বিপণন নিয়মাবলী ২০১৪’ অনুযায়ী বয়লারের ন্যূনতম দক্ষতা ৮২% করার নির্দেশনা রয়েছে। সিএনজি এবং শিল্প গ্রাহক পর্যায়ে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত মোট ৩,৩২৪টি মিটার স্থাপন করা হয়েছে। গৃহস্থালী পর্যায়ে ব্যবহৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের অপচয় রোধে ও জ্বালানির দক্ষ ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত মোট ৪,৪৯,০০০টি প্রি-পেইড মিটার গ্রাহক আঙিনায় স্থাপন করা হয়েছে। অন্যান্য গৃহস্থালী গ্রাহকদের পর্যায়ক্রমে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের প্রকল্প চলমান আছে। গ্যাস বিতরণ পাইপলাইনে লিকেজ হলে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিসমূহের নির্দিষ্ট জরুরি নম্বরে জানালে লিকেজ মেরামতের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়া বাণিজ্যিক ও গৃহস্থালী গ্রাহকদের জ্বালানি সাশ্রয়ী বার্নার ব্যবহারে উৎসাহিতকরণে বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে পেট্রোবাংলার আওতাধীন ৬টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানির মাধ্যমে মোট ১,১৩৪টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। একই সময়ে মোট ৪,৫৭৫টি সংযোগ এবং ২৬ হাজার ৬৬৭টি বার্নার বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এছাড়া আগস্ট, ২০২৩ মাসে ৪১.৪২ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে।