নিজস্ব প্রতিবেদক:
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়াকে ছয় মাসের অন্তবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একসঙ্গেই ছয় মাসের জামিন দিয়ে রুলও জারি করেছেন। পাপিয়ার বিরুদ্ধে মোট ১০টি মামলা রয়েছে। অন্য ৯টি মামলায় ইতোমধ্যে পাপিয়া জামিনে থাকায় তার মুক্তিতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন পাপিয়ার আইনজীবী রবিউল আলম বুদু। আজ বুধবার (১ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ সময় আদালতে পাপিয়ার জামিন আবেদনের বিষয়ে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট রবিউল আলম বুদু ও আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
পরে খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের জানান, মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। দীর্ঘদিন কারাগারে আছেন এমন যুক্তিতে তারা জামিন চেয়েছেন।
রবিউল আলম বুদু বলেন, তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনসহ বিভিন্ন মামলায় তিনি আগেই জামিন পেয়েছেন। এখন এই মামলায় জামিন পাওয়ায় তার জামিনে আপাতত মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই।
এর আগে, সাড়ে ৬ কোটি টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ২০২০ সালের ৪ আগস্টে দুদকের উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলায় শামীমা নূর পাপিয়া এবং তার স্বামী মো. মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমনের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৮৪ লাখ ১৮ হাজার ৭১৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করে তাদের দখলে রাখায় চার্জশিট অনুমোদন দেয় দুদক। এরপর এর বিচার শুরু হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২২ ফেব্র“য়ারি পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানকে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
