দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের হিলিতে সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ১০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বর্তমানে বাজারে ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শীতকালীন সবজি বাজারে আসায় দামে ক্রেতাদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
ক্রেতারা জানান, কাঁচা সবজির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। আর কাঁচা মরিচের দাম নেমেছে অর্ধেকে।
বিক্রেতাদের দাবি, বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। অবরোধের মধ্যে কাঁচামাল মোকামে না পাঠানোর কারণে এসব পণ্যের দাম এখন অর্ধেকে নেমে এসেছে। আজ বৃহস্পতিবার হিলি বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
হিলি বাজারে সবজির কিনতে আসা ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আজ একটু কাঁচাবাজারে করে স্বস্তি পেলাম। এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি আলু কিনতে হয়েছিল ৬৫ টাকা দরে। আজ সেই আলু ৫০ টাকায় কিনেছি। এভাবে প্রতিটি পণ্যের দামই কমেছে।
সবচেয়ে বেশি কমেছে কাঁচা মরিচের দাম। ১০০ টাকা কেজি হিসাবে আধাকেজি ৫০ টাকায় কিনলাম।’
ক্রেতা ইউসুব আলী বলেন, ‘কিছুদিন ধরে সবজির দাম ছিল আকাশছোঁয়া। বেগুন ছিল ৮০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি, ফুলকপির কেজি ১২০ টাকা। এখন সব পণ্যের দামই নাগালের মধ্যে এসেছে।
আজ বেগুন ৩৫ টাকা, পেঁয়াজ ৮০ টাকা, ফুলকপি ৪০ টাকা কেজি দরে কিনলাম।’ তিনি আরো বলেন, ‘শাকসবজির দামও কমেছে। গত সপ্তাহে চার আঁটি পালংশাক ৩০ টাকা বিক্রি হলেও আজ বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। এভাবে মূলাশাক, সরিষা শাকেরও দাম কমেছে।’
বাজারে খুচরা সবজি বিক্রেতা শাহিন বলেন, ‘আমরা তো আর ইচ্ছে করে দাম বাড়াই না। বাজারে যখন সরবরাহ কম থাকে, তখন প্রতিটি কাঁচা পণ্যের দাম বাড়ে। আবার সরবরাহ বাড়লে দাম কমে। আমরা কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা লাভে বিক্রি করি।’
বাজারের পাইকারি সবজি বিক্রেতা শেখ বিপ্লব বলেন, ‘আমরা মোকাম থেকে কাঁচা পণ্য এনে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করি। মোকাম থেকে যে দামে কিনি তার সঙ্গে পরিবহন খরচ, নিজের খরচ বাদ দিয়ে কেজিতে পাঁচ টাকা লাভে বিক্রি করি।’
তিনি আরো বলেন, ভারত থেকে আলু আসায় বাজারে দামে প্রভাব পড়ছে। আলুর দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা কমেছে। আর অবরোধের কারণে সবজি মোকামে না পাঠানোর কারণে স্থানীয় বাজারে দাম কমেছে। এ ছাড়াও শীতকালীন সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে। প্রথম দিকে দাম একটু চড়া থাকলেও ধীরে ধীরে কমে যাবে।