প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ কোঁতের আমন্ত্রণে ৪ দিনের এক সরকারি সফরে আজ রোমের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী সফরকালে ৫ ফেব্রুয়ারি জিউসেপ কোঁতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। বৈঠকে সাংস্কৃতিক বিনিময়, রাজনৈতিক বিষয় এবং কূটনৈতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্পর্কিত তিনটি চুক্তি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি বিমান সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে ইতালির রাজধানী রোমের উদ্দেশে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করেছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, কৃষি মন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি), কূটনীতিক কোরের ডিন এবং বেসরকারি ও সামরিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
বিমানটি স্থানীয় সময় বিকেল সোয়া ৪টায় রোমের ফিয়ামিসিনো বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। মিনিস্টার প্লেনিপোটেনসিয়ারি অব ইটালিয়ান ফরেন মিনিস্ট্রি ক্রিস্টিয়ানো কোস্তাফাবি এবং ইতালিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানাবেন।
বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে মোটর শোভাযাত্রাসহকারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে পার্কো দেই প্রিন্সিপি গ্র্যান্ড হোটেল অ্যান্ড স্পায় নিয়ে যাওয়া হবে। ইতালির রাজধানীতে সফরকালে তিনি সেখানে অবস্থান করবেন।
শেখ হাসিনা একই দিন সন্ধ্যায় পার্কো দেই প্রিন্সিপি গ্র্যান্ড হোটেল অ্যান্ড স্পায় তাঁর সম্মানে আয়োজিত একটি সংবর্ধনায় যোগ দিবেন।
তিনি ৫ ফেব্রুয়ারি সকালে রোমের ভায়া ডেল’এন্টারটাইড এলাকায় বাংলাদেশ দূতাবাসের চ্যান্সরি ভবন উদ্বোধন করবেন।
বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ কোঁতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন এবং ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন পালাজো চিগিতে আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন।
দুই শীর্ষ নেতা তাদের শীর্ষ বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সব বিষয়ের পাশাপাশি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েও আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
পরে, ইতালীয় ব্যবসায়িক সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিগণ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর আবাসকালীন হোটেলের সভাকক্ষে সাক্ষাত করবেন।
প্রধানমন্ত্রী এরপর একই হোটেলে ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেবেন।
৬ ফেব্রুয়ারি সকালে পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী এদিন দুপুর ১২ টা ৫০ মিনিটে ট্রেনে রোম থেকে ইতালির মিলান শহরের উদ্দেশে যাত্রা করে স্থানীয় সময় বিকেল চারটায় সেখানে পৌঁছবেন।
মিলান সফরে তিনি এক্সেলসিয়ার হোটেল গালিয়ায় অবস্থান করবেন।
প্রধানমন্ত্রী ৭ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে আমিরাত এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে মিলান মালপেন্সা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন।
শেখ হাসিনা ৮ ফেব্রুয়ারি দুবাই হয়ে বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা ১০ মিনিটে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছবেন।
এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকালে ঢাকা ও রোমের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়, রাজনৈতিক বিষয় এবং কূটনৈতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্পর্কিত ৩টি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে।