কানায় কানায় পূর্ণ খুলনা প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল

প্রকাশিত: ৪:১২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৩, ২০২৩

খুলনা প্রতিনিধি:

কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাস্থল। সোমবার দুপুর একটার মধ্যে নেতাকর্মীদের ভিড়ে ভরে যায় পুরো মাঠ। এখনও বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা আসছেন জনসভায়। মাঠে ঢুকতে না পেরে তারা অবস্থান নিচ্ছেন সার্কিট হাউসের চারপাশের সড়কগুলোতে।

সকাল সাড়ে ৯টা থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি, দলীয় প্রতীক, প্ল্যাকার্ড, দলীয় ও জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে যোগ দেন সার্কিট হাউস মাঠে। ব্যানারসহ মিছিল নিয়ে আসেন বিভিন্ন জেলা-উপজেলার নেতাকর্মীরা। সড়ক, রেল ও নৌপথে খুলনা বিভাগের ১০ জেলা এবং পাশের গোপালগঞ্জ ও পিরোজপুর জেলা থেকেও আসছেন অসংখ্য নেতাকর্মী। লোকজন আসার সুবিধার জন্য নগরীর রূপসা ঘাট ও জেলখানা ঘাটে বেশ কয়েকটি ফেরি চালু করা হয়েছে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে খুলনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে ঘিরে বড় শোডাউন করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। খুলনা যেন পরিণত হয়েছে মিছিলের নগরীতে। গোটা নগরীর রাজপথ রয়েছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দখলে। ৫ বছর পর প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ঘিরে উজ্জীবিত নেতাকর্মীরা।

কেন্দ্রীয় নেতাদের নজর কাড়তে রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নেমেছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। সম্ভাব্য প্রার্থীদের ছবি ও নাম সংবলিত টি শার্ট, ক্যাপ ও হেডব্যান্ড পরে এসেছেন তাদের অনুসারীরা।

প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ দেখার সুবিধার জন্য নগরীর ২৮টি জায়গায় এলইডি মনিটর স্থাপন করা হয়েছে। মাইক দেওয়া হয়েছে জনসভাস্থলের পার্শ্ববর্তী ৩-৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে। প্রধানমন্ত্রী ও জনসভার নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করছেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব, নৌ পুলিশ ও আনসার বাহিনীর কয়েক হাজার সদস্য।

মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে দুপুর পৌনে ১টায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে নির্মিত হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন। দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত সার্কিট হাউসে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন। বেলা পৌনে ৩টায় সার্কিট হাউস মাঠে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর যোগ দেবেন আওয়ামী লীগ আয়োজিত খুলনা বিভাগীয় জনসভায়।

জেলা প্রশাসন জানায়, প্রধানমন্ত্রী ২ হাজার ৩৬৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ২২৩ কোটি টাকার ৫টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৮ সালের ৩ মার্চ খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে জনসভায় বক্তব্য দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি খুলনা গিয়েছিলেন তিনি।