শিক্ষার্থী নির্যাতনের মামলায় উইলস লিটলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ ৯ জনের জামিন

প্রকাশিত: ৪:২২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৩, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগে হওয়া মামলায় প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আ ন ম সামসুল আলমসহ নয়জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। জামিন পাওয়া অপর আসামিরা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির সহকারী প্রধান শিক্ষক (দিবা শাখা) মো. নাসির উদ্দিন, সহকারী শিক্ষক ফয়সাল শামীম, মো. আতিক, ফেরদৌসী সুমী, তরিকুল আজম খান, প্রিতীষ বিশ্বাস এবং সিকিউরিটি গার্ড জিয়াউল হক জিয়া ও মাসুদ রানা। আজ সোমবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালতে তারা আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাদের পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় তা বদলির আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী রাকিব চৌধুরী।


এর আগে গত ২২ ফেব্র“য়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী ছাত্রের বাবা এবং প্রতিষ্ঠানটির সাবেক গভর্নিং বডির সদস্য শফিকুর রহমান। সেদিন বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন আদালত। ঘটনার সত্যতা পেয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করে পিবিআই। গত ২৩ অক্টোবর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আসামিদের ১৩ নভেম্বর আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, তিনি (বাদী) উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাধ্যমিক শাখায় ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত গভর্নিং বডির নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। তার ছেলে তাইফুর রহমান (নাহিয়ান) ২০২২ সালে এই স্কুলের ৯ম শ্রেণির মানবিক (দিবা) শাখার ছাত্র ছিল।


শফিকুর রহমান গভর্নিং বডির অভিভাবক প্রতিনিধি থাকার সময়ে প্রতিষ্ঠানটির বাংলা মাধ্যম দিবা শাখার সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. নাসির উদ্দিনকে (দুই নম্বর আসামি) সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং তার কুকীর্তির বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন হয়। সেই তদন্ত কমিটির আহবায়ক ছিলেন বাদী শফিকুর রহমান। এ সময় নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবুল হোসেন বরাবর এক প্রতিবেদন দাখিল করেন তিনি।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, এরপর থেকে আসামিরা তাকে ও তার ছেলে নাহিয়ানের প্রতি বিরূপ আচরণসহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন। তারা কারণে-অকারণে নাহিয়ানকে ক্লাসে দাঁড় করিয়ে রাখা, ছোট করে কথা বলা, অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সামনে হেয় করা এবং বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখাতেন। একপর্যায়ে নাহিয়ান শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।