দুই স্কুলছাত্রী ও বাকপ্রতিবন্ধী গৃহবধূকে ধর্ষণ

দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ৬:৫৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২০

বগুড়ার সোনাতলা ও কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে দুই স্কুলছাত্রী এবং নাটোরের বড়াইগ্রামে বাকপ্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।

 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সোনাতলা উপজেলার সুজাইতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী গত মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে স্কুলে যাচ্ছিল। এ সময় একই গ্রামের ছালেক মন্ডলের ছেলে শফিকুল ইসলাম মন্ডল টাকার লোভ দেখিয়ে তাকে পাশের একটি বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে ঘটনা পরিবারকে জানায়। রাতেই মেয়েটির বাবা সোনাতলা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ বুধবার রাতে অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম মÐলকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। সোনাতলা থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মাসউদ চৌধুরী বলেন, আসামি গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

 

এদিকে বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নের সাতৈল গ্রামে এক বাকপ্রতিবন্ধী গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে অভিযুক্ত লতু হোসেনকে আটক করে। বুধবার রাত ১১টার দিকে ওই নারী নিজ ঘরে ধর্ষণের শিকার হন। অভিযুক্ত লতু ওই গ্রামের মৃত শাহাদত হোসেনের ছেলে। ধর্ষিতার স্বামী জানান, রাত ১১টার দিকে বাজার থেকে ফিরে তার স্ত্রীকে লতুর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় পান। পরে জানতে পারেন, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে এলে লতু চুপিসারে তার স্ত্রীর ঘরে ঢোকে ও মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা স্থানীয়দের ও পরে পুলিশকে জানালে পুলিশ অভিযুক্ত লতুকে আটক করে। বড়াইগ্রাম থানার এএসআই জুলেখা বেগম জানান, এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

এছাড়া হোসেনপুরে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ সূত্র জানায়, গত ৪ ফেব্রæয়রি দুপুরে উপজেলার পিপলাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় পিপলাকান্দি উচ্চবিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীকে একই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র রুমান মিয়া (১৭) রাস্তার পাশে পরিত্যক্ত একটি ভবনে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় মেয়েটির মা গত বুধবার রাতে হোসেনপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। হোসেনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।