ভারতের কাশ্মীরে পুড়ে মারা যাওয়া বাক্সবন্দী ৩ বাংলাদেশির মরদেহ ঢামেক মর্গে

প্রকাশিত: ৩:২৮ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৬, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ভারতের কাশ্মীরে অগ্নিকাণ্ডে মারা যাওয়া তিন বাংলাদেশির পোড়া মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের তিন জনের ময়না তদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার জন্য হাসপাতালের মর্গে আনা হয় । বুধবার (১৫ নভেম্বর ) বিকেলে ভারতের দিল্লি থেকে কার্গো বিমানে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাদের দগ্ধ মরদেহ এসে পৌঁছায়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাদের তিনজনের মরদেহ তিনটি কার্টনে ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আনা হয় ।

নিহতরা হলেন—অনিন্দ্য কৌশল নাথ, ইমন দাশগুপ্ত ও তাদের বন্ধু মো. মঈনুদ্দিন। এদের মধ্যে অনিন্দ্য ও ইমন পেশায় প্রকৌশলী ছিলেন। আর মঈনুদ্দিন ছিলেন ঠিকাদার। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, ভারতের কাশ্মীরে একটি হাউজবোটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুই প্রকৌশলী ও এক ঠিকাদারের মরদেহ তিনটি কার্টনে বিকেলে ইন্ডিগো কার্গো বিমানে করে ভারতের দিল্লি থেকে দেশে আসে। পরে ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ প্রোফাইলের জন্য তিনটি কার্টনে মরদেহ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে নিয়ে আসা হয়। এই তিনজনের মধ্যে কোনটা কার মরদেহ সেটি জানা যায়নি। ডিএনএ প্রোফাইলের মাধ্যমে এই তিনজনের মরদেহ শনাক্ত করা হবে। ভারতের কাশ্মীরে পুড়ে যাওয়া মরদেগুলো শনাক্ত করার মতো কোনো অবস্থা ছিল না। তারা কবে কিভাবে কি কারণে ভারতের কাশ্মীরে গিয়েছিলেন, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

গত ১১ নভেম্বর ভোরে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শ্রীনগরের জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা ডাল লেকে কয়েকটি হাউস বোটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়। তাদের ৩ জনের বাড়িই চট্টগ্রামে। ঢামেক হাসপাতালের মর্গ সূত্রে জানা যায়, আজ বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) তাদের ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে । এরপর আইনি প্রক্রিয়ায় পরিবারের মাঝে ৩ জনের পোড়া মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।