মাত্র ১ শতাংশ ধনীর দ্বারা বিশ্ব সবচেয়ে বেশি দূষিত হয়েছে
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
ডেস্ক রিপোর্ট:
বিশ্বের যত ধনী ব্যক্তি আছেন তাদের মধ্যে মাত্র ১ শতাংশ— ২০১৯ সালে বিশ্বকে সবচেয়ে বেশি দূষিত করেছেন। ব্রিটিশ অলাভজনক বেসরকারি সংস্থা অক্সফাম সোমবার (২০ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটি বলেছে, মাত্র ১ শতাংশ ধনী (৭ কোটি ৭০ লাখ মানুষ) ২০১৯ সালে যে পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ করেছেন; সেই পরিমাণ কার্বণ নিঃসরণ বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ৬৬ শতাংশ গরীব মানুষও করেননি।
অতি ধনী ব্যক্তিদের লাইফস্টাইল এবং দূষণকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানে তাদের বিনিয়োগ নিয়ে একটি গবেষণা করে ওক্সফাম। এই গবেষণায় ওঠে এসেছে এমন তথ্য।
সাম্প্রতিক সময়ে বৈশ্বিক উষ্ণতা আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বাড়তি উষ্ণতা দক্ষিণপূর্ব এশিয়া, পূর্ব আফ্রিকা এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাধারণ মানুষের জীবনের ওপর বিপর্যয়কর প্রভাব ফেলছে। আর এমন সময় অক্সফামের প্রতিবেদনে ওঠে এলো এমন ভয়ানক চিত্র।
চলতি বছরের নভেম্বরে বিশ্বে শিল্পপূর্বযুগের তাপমাত্রার চেয়ে তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি রেকর্ড করা হয়। যদিও ২০১৫ সালে বৈশ্বিক নেতারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, শিল্পপূর্বযুগের তাপমাত্রার চেয়ে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন তারা।
অক্সফাম তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ‘অতি ধনীরা বিশ্বকে ধ্বংসের কাছাকাছি নেওয়ার মতো দূষিত করছেন। তাদের কারণে মানব সভ্যতা অত্যন্ত উষ্ণতা, দমবন্ধকর পরিস্থিতি, বন্যা এবং খরায় পড়েছে।’
অক্সফামের এ প্রতিবেদনে আরও ওঠে এসেছে, ২০১৯ সালে বিশ্বের সব গাড়ি এবং যোগাযোগের অন্যান্য বাহন যে পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ করেছে; তার চেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণে দায়ী ১ শতাংশ ধনী ব্যক্তি। এছাড়া সে বছর বিশ্বে যে পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ হয়েছে তার অর্ধেক হয়েছে বিশ্বের ১০ শতাংশ ধনীর কারণে।
ব্রিটিশ বেসরকারি সংস্থা অক্সফাম আহ্বান জানিয়েছে, ধনীরা বিশ্বের যে ক্ষতি করেছে সেটির ক্ষতিপূরণ হিসেবে তাদের ওপর যেন বিশেষ কর আরোপ করা হয় এবং সেই করের অর্থ দিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ করা হয়।
সংস্থাটি বলেছে, বিশ্বের ১ শতাংশ অতি-ধনীর আয়ের ওপর যদি ৬০ শতাংশ আয়কর আরোপ করা হয়; তাহলে যুক্তরাজ্যে প্রতিবছর যে পরিমাণ কার্বণ নিঃসরণ হয় সে পরিমাণ নিঃসরণ কমে যাবে। এছাড়া তাদের ওপর আরোপিত কর থেকে আসবে ৬ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার। যেটি জীবাশ্ম জ্বালানী থেকে বিশ্বকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরিত করতে কাজে দেবে।