পিবিআই প্রধানের বিরুদ্ধে বাবুল আক্তারের আবেদন খারিজের আদেশ বহাল

প্রকাশিত: ৮:৪৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২১, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজের আদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। পিবিআই প্রধান বনজ কুমার ছাড়া মামলার অন্য বিবাদীরা হলেন- সংস্থাটির চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের এসপি নাজমুল হাসান, চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের এসপি নাঈমা সুলতানা, পিবিআইয়ের সাবেক পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা, সিএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার একেএম মহিউদ্দিন সেলিম ও পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের পরিদর্শক কাজী এনায়েত কবির। আজ মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি ব্যারিস্টার মেহেদী হাছান চৌধুরী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।


গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর পিবিআই প্রধান বনজ কুমারসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার যে আবেদন করেছিলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার সেটি খারিজ করে দেন আদালত। চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালত এই আবেদন খারিজ করেন। পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন বাবুল আক্তার।
গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর বাবুল আক্তারের পক্ষে তার আইনজীবী মামলার এ আবেদন করেন। এতে পিবিআই অফিসে ৫৩ ঘণ্টা বাবুলকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়। ২০২১ সালের ১১ মে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। এরপর থেকে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় কারাগারে রয়েছেন তিনি।
আদালতে করা মামলার আর্জিতে বলা হয়েছিল, ২০২১ সালের ১০ মে থেকে ১৭ মে পর্যন্ত সময়ে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ও জেলা অফিসে বাবুল আক্তারের ওপর নির্যাতন করা হয়। স্ত্রী হত্যার ঘটনায় মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেওয়ার জন্য বাবুল আক্তারের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার কাছে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদসহ নানা নাটকীয়তার পর ওই বছরের আগস্টে বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।